আজকে আমরা জানবো গরিলা গ্লাস কি এবং এটি কেমন শক্তিশালী।

আজকে আমরা জানবো গরিলা গ্লাস কি এবং এটি কেমন শক্তিশালী। এসব বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো। বর্তমানে আধুনিক বিশ্বে প্রযুক্তির ব্যবহার সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে । প্রযুক্তির অবদানের কারণে আমরা এখন ঘরে বসে দূর-দূরান্ত থাকা কোন ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারি ।কিছু পাঠাতে পারি এরকম অনেক কাজ করতে পারি । প্রযুক্তির ব্যবহার আমরা বিভিন্ন যন্ত্রাংশ বা ডিভাইসের মাধ্যমে করে থাকি।

এরকম অনেক ডিভাইসের মধ্যে মোবাইল ফোন, কম্পিউটার ,ল্যাপটপ , ট্যাব এরকম অসংখ্য ডিভাইস । যেটি ডিভাইস বা যন্ত্রাংশগুলোর এর মাধ্যমে আমরা প্রযুক্তির ব্যবহার করে থাকি । এই ডিভাইসগুলোর বিভিন্ন প্রটেক্টর এর মধ্যে গরিলা গ্লাস একটি । এই গরিলা গ্লাস এইসব ডিভাইজের ডিসপ্লেকে প্রটেক বা রক্ষা করে থাকে । এছাড়া গরিলা গ্লাস স্মার্টওয়াচে এমনকি গাড়ির গ্লাস এও ব্যবহার করা হয়ে থাকে ।

গরিলা গ্লাস কি এবং এটি কেমন শক্তিশালী।

গরিলা গ্লাস মূলত মার্কিন প্রতিষ্ঠান কর্নিং ইনকর্পোরেটেড প্রতিষ্ঠান ট্রেডমার্ককৃত ও প্রস্তুতকৃত এক ধরনের গ্লাস । এটি 1851 সালে প্রতিষ্ঠা করা হয়। এবং করে করনিং গ্লাস ওয়ার্কস নামে একটি কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন ।
পরে আবার সেই কোম্পানির নাম করনিং গ্লাস ওয়ার্কস থেকে করে করনিং ইনকর্পোরেটেড করা হয় । নিউইয়র্ক এর পাশাপাশি তাদের দুটি গ্লাস রিসার্চ সেন্টার জাপান ও তাইওয়ানেও রয়েছে । গরিলা গ্লাস কোন ডিভাইস বা যন্ত্রাংশের প্রটেক্টর বা রক্ষক হিসেবে কাজকরার সাথে জীবাণু প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে ।

আজকে আমার এই লেখা গুলো দেখে আপনারা জানতে ও বুঝতে পারবেন গরিলা গ্লাস কি ও এটি কেন এত শক্তিশালী । আশা করি আপনারা আমার লেখাগুলো সব গুলোই খুব ভালোভাবে দেখবেন কোন লেখা মিস করবেন না এতে করে আপনারা সব তথ্যই ভালোভাবে জানতে পারবেন ।

এবার জানা যাক গরিলা গ্লাস আসলে কেমন শক্তিশালী –

গরিলা নামক প্রাণীটি সম্পর্কে আমরা হয়তো সবাই জানি । এবং সেই প্রাণীটির শক্তি সম্পর্কেও আমরা সবাই জানি ।মূলত গরিলা নামক প্রাণীটি শক্তিশালী হওয়ার সাথে এই গ্লাস টির নাম গরিলা রাখার সম্পর্ক আছে । কিন্তু এখানে মনে রাখতে হবে যে গরিলা গ্লাস যে একবারে ভাঙ্গে না ব্যাপারটা কিন্তু তা না । তবে গরিলা গ্লাস সাধারণ গ্লাস এর চেয়ে অনেক শক্তিশালী ।

সর্বশেষ ষষ্ঠ প্রজন্মের গরিলা গ্লাস (৬) টি ১ মিটার উঁচু থেকে অসমতল জায়গায় 15 বার ড্রপ টেস্ট করার পরেও এর স্যাম্পল অক্ষত অবস্থায় ছিল । এবং পঞ্চম প্রজন্মের গরিলা গ্লাস গুলো 1.5 মিটার উচ্চতার থেকে শক্ত জায়গায় ফেলার পরেও ৮০ ভাগ ক্ষেত্র অক্ষত অবস্থায় থাকে ।

তাহলে বুঝতেই পারছেন গরিলা গ্লাস কি ধরনের শক্ত । তবে গরিলা গ্লাস ৬ এর আগের প্রজন্মের চেয়ে দ্বিগুণ শক্তিশালী বলে দাবি করেন কর্নিং । মূলত এসব কোম্পানিগুলো এগুলোর ডিউরেবিলিটি নিশ্চিত করার জন্য এরকম অসংখ্য টেস্ট করে থাকে ।

গরিলা গ্লাস কেন এত শক্ত এবং মজবুত তারা করা হলো :

আমরা আগেই জেনেছি যে হয়তো গরিলা নামক প্রাণীটির শক্তির কথা চিন্তা করে এই গ্লাস টির নাম গরিলা রাখা হয় । এই গ্লাসটি একেবারেই যে ভাঙ্গে না তা নয় কিন্তু এই গ্লাসটি সাধারণ গ্লাসের তুলনায় অধিক পরিমাণ শক্তিশালী । আমরা যদি টেকনিক্যালি বলতে যাই তাহলে গরিলা গ্লাস হচ্ছে এক ধরনের আলুমিনোসিলিকেট । মানে এগুলো বালু ভিত্তিক এবং এ্যালুমিনিয়াম সিলিকন ও অক্সিজেনের কম্পোজিশনে তৈরি এক ধরনের রাসায়নিক যৌগ ।

প্রাথমিকভাবে গরিলা গ্লাস তৈরি করার পর গ্লাসটি কে ৪০০ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রার গলিত সল্ট বাথ এ রাখা হয় । এখন এই তাপমাত্রা আয়ন এক্সচেঞ্জ রাসায়নিক প্রক্রিয়ার সূচনা করে । যে প্রক্রিয়ার ফলে লবণের বড় বড় পটাশিয়াম আয়ন গুলো গ্লাসে প্রবেশ করে এবং গ্লাসে থাকা ছোট ছোট সোডিয়াম আয়ন কে গ্লাসে বাইরে বের করে দিয়ে জায়গা দখল করে নেয় ।

গ্লাসটি ঘনত্ব অনেক বেশি বেড়ে যায়

এবং এই প্রক্রিয়ার ফলে গ্লাসটি ঘনত্ব অনেক বেশি বেড়ে যায় এবং এই অধিক ঘনত্বের কারণেই গরিলা গ্লাসকে সেই কাঙ্খিত ডিউরেবিলিটি প্রদান করে । আর এইসব এর কারণেই গরিলা গ্লাস সাধারণ গ্লাস এর তুলনায় অধিক অধিক পরিমাণে শক্তিশালী । তাই এটিকে বিভিন্ন ডিভাইস বা যন্ত্রাংশের প্রোটেক্টর বা রক্ষক হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে ।

তো বন্ধুরা আপনারা যদি উপরের সব লেখাগুলো ভালোভাবে পড়ে থাকেন তো আপনারা জানতে পারবেন যে এবং এটি ব্যবহার করা হয় এবং এটি কেন এত শক্তিশালী । এবং উপরের লেখাগুলো আপনাদের ভালো লাগলো কিনা সেটি আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাবেন ।

এতে করে আমরা অনুপ্রাণিত হই এবং আপনাদের এরকম অনেক তথ্য দিতে আগ্রহী হই ।আপনাদের এরকম কোন বিষয় নিয়ে যদি কখনো জানার আগ্রহ বা জানার আগ্রহ থাকলে সেটি আমাদের কমেন্ট বক্সে লিখে দিবেন । আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব আপনাদের বিষয়গুলো জানানোর ।

Add a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *