CAPTCHA এর ইতিহাস এবং এর ব্যবহার সম্পর্কে জানুন
আমরা আজকে ক্যাপচা (CAPTCHA) এর ইতিহাস এবং এর ব্যবহার ইত্যাদি সম্পর্কে আলোচনা করব। আজকাল প্রায় সব ওয়েবসাইটে ক্যাপচা (CAPTCHA) দেখা মিলে। আজ আমরা ক্যাপচা এর ব্যবহার কার্যনীতি ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা করব ।
আশা করি আপনারা আমার সম্পূর্ণ লেখাটি ভালোভাবে পড়বেন ও দেখবেন। যদি আপনারা আমার কোন লেখা মিস করে দেন তো হয়তোবা সেই মিস করা লেখাটির মধ্যে আপনি কোন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিস করে যেতে পারেন। এতে করে আপনি ক্যাপচা সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে ও বুঝতে পারবেন না। তাই আপনাদেরকে সম্পূর্ণ লেখাটি ভালোভাবে দেখার অনুরোধ রইলো।
CAPTCHA এর ইতিহাস এবং এর ব্যবহার
আমরা জানি যে ক্যাপচা (CAPTCHA) বিভিন্ন ওয়েবসাইটে ব্যবহার করা হয় কারণ ব্যবহারকারী রোবট কিনা এটা জানার জন্য । ক্যাপচা (CAPTCHA) শব্দটি সর্বপ্রথম 2000 সালে কার্নেগি মেলন বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞানীরা ব্যবহার করেছিলেন। ক্যাপচা মূলত প্রথম ব্যবহার করা হয়েছিল অনলাইন পোল যাচাই করার জন্য।
1999 সালে, slashdot কম্পিউটার বিজ্ঞানের জন্য সেরা প্রোগ্রাম যুক্ত স্নাতক স্কুল টি বেছে নিতে বলা হত ভিজিটরদের। কার্নেগি মেলন এবং এমআইটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা স্বয়ংক্রিয় প্রোগ্রাম অর্থাৎ বট তৈরি করেছিল। এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলো উক্ত সমীক্ষাতে হাজার হাজার ভোট পায় কিন্তু অন্য প্রতিষ্ঠানগুলো ভোট পায় মাত্র কয়েকশ। তখন ব্যবহারকারীরা যাতে ভোটদান ব্যবস্থার সুযোগ নিতে না পারে সেজন্য ক্যাপচা (CAPTCHA) তৈরি করা হয়েছিল।
বিনামূল্যে অ্যাকাউন্ট তৈরি
ক্যাপচারের সর্বাধিক ব্যবহার করা হয় যেখানে মানুষ বিনামূল্যে অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে পারে। যেমন ইয়াহু মেইল বা জিমেইল এর মত সাইট গুলোতে ক্যাপচা (CAPTCHA) এর ব্যবহার বেশি হয়ে থাকে। এসব সাইট গুলোতে বট গুলোর অধিকহারে স্পাম ইমেইল তৈরি করতে বাধা দেয় ক্যাপচা (CAPTCHA)। টিকিট মাস্টারের মত টিকিট বিক্রেতা ওয়েবসাইটগুলোতেও টিকেট দালালদের অতিরিক্ত টিকেট কেনা থেকে আটকাতে ক্যাপচা (CAPTCHA) ব্যবহার করা হয়।
এটির মাধ্যমে বৈধ গ্রাহকরা সুষ্ঠুভাবে টিকিট কেনার সুবিধা পায় , এবং টিকেট দালালদের হাজার হাজার টিকেটের অর্ডার দেয়া থেকে বটগুলোকে রূখে দেওয়া যায়। এতে করে একটি সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় থাকে। এছাড়া ওয়েবপেইজ বা ব্লগ এ মেসেজ ফ্রম বা কন্টাক্ট ফর্ম গুলোতে আসা স্পামি মেসেজ এবং কমেন্ট প্রতিরোধ করতে এই ক্যাপচা (CAPTCHA) ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এটি কিন্তু সাইবার বুলিং এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করে না , এটি মূলত স্বয়ংক্রিয়ভাবে মেসেজ পোস্ট করা থেকে বটগুলি কে রক্ষা করে।
ক্যাপচা এর কার্যকারিতা মূলত কেমন তার ব্যাখ্যা
বর্তমানে প্রযুক্তির উন্নয়নের সাথে সাথে দুর্ভাগ্যক্রমে ক্ষতিকর হ্যাকাররা উন্নত হয়েছে। ক্ষতি হ্যাকাররা উন্নত হওয়ার সাথে তাদের স্ক্যামিং এর কৌশল গুলো আরো উন্নত হয়েছে। যদিও ক্যাপচা (CAPTCHA) মূলত একটি নিরাপদ প্রক্রিয়া সাইবার অপরাধীরা তাদের স্কাম গুলোকে আরো বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে তাদের প্রতারণামূলক ও মিথ্যা ওয়েবসাইটগুলোতেও ক্যাপচা নামক জিনিসটি অন্তর্ভুক্ত করেছে।
এ থেকে বোঝা যায় ক্যাপচা (CAPTCHA) যেমন গুরুত্বপূর্ণ ওয়েবসাইটগুলোতে ব্যবহার করা হচ্ছে ঠিক তেমনি প্রতারণামূলক ওয়েবসাইটগুলোতেও ব্যবহার করা হচ্ছে।
ক্যাপচা (CAPTCHA) এর ব্যবহার সমূহ নিম্নে আলোচনা করা হলো
মূলত ক্যাপচা ব্যবহার করা হয় ওয়েবসাইট এবং ব্যবহারকারীদের কি সুরক্ষিত রাখার জন্য । নিচে ক্যাপচা যেসব ক্ষেত্রে অধিক এবং বেশি ব্যবহার করা হয় সেগুলো উল্লেখ করা হলো –
1.প্রতারকদের থেকে ই-মেইল সেবা রক্ষা করা।
2.অনলাইন পোলিং রক্ষা করা।
3.ওয়েবসাইটের নিবন্ধন পদ্ধতি রক্ষা করা।
4.স্পাম এর মতো ক্ষতিকর মেইল থেকে রক্ষা করা।
5.ডিকশনারি অ্যাটাক এর মত সমস্যাকে প্রতিরোধ করা।
6.অনলাইনে মেসেজ বা কমেন্ট স্পামিং কে প্রতিরোধ করা।
উপরে বর্ণিত উক্ত ক্ষেত্রগুলি ছাড়াও আরো অনেক ক্ষেত্রে ক্যাপচা (CAPTCHA) এর ব্যবহার লক্ষ্যনীয়। আশা করি বন্ধুরা আপনারা উপরের লেখাগুলো থেকে ক্যাপচা (CAPTCHA) এর ইতিহাস ও ক্যাপচা এর কার্যনীতি এবং ক্যাপচা অসাধু ব্যবসায়ীরা কোথায় কোথায় ব্যবহার করছে এবং জনস্বার্থে ক্যাপচা (CAPTCHA) কোথায় ব্যবহার করা হয় এইসব বিষয় খুব ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন।
আপনাদের ক্যাপচা (CAPTCHA) জিনিসটা কেমন লাগে এই বিষয়ে আমাদের কমেন্টে জানাবেন এবং আপনারা কোন বিষয়টি জানতে চেয়েছেন সেগুলো আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাবেন ।