শরীর সুস্থ রাখার কৌশল সমূহ শরীর সুস্থ রাখার সহজ উপায় দেখুন এখানে
শরীর সুস্থ রাখার কৌশলঃ বর্তমান যুগ যান্ত্রিক যুগ। আর এই যান্ত্রিক যুগে নিজের জীবনের সুস্থতা ও সুন্দর রাখতে আমাদের কিছু নিয়ম পালন করতে হবে। যান্ত্রিক কোলাহলপূর্ণ জীবনে আমরা আমাদের শরীরের সুস্থতায় মনোযোগ দিতে চেষ্টা করিনা। কিন্তু শরীর যখন একটু বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ে তখন আমরা একটু বেশি অসহায় হয়ে পড়ি। তাই আমাদের উচিৎ ছোট ছোট নিয়ম পালনের মাধ্যমে শরীরকে সুস্থ রাখা। আজ আপনি এখানে শরীর সুস্থ রাখার কৌশল জানতে পারবেন।
আমরা আমাদের অমূল্য জীবন ভালোভাবে কাটাতে এবং সুস্থ থাকতে প্রতিদিনের চলাচলের মাঝে ছোট খাটো ভুল থেকে নিজেকে রক্ষা করে এবং শরীরের প্রতি যত্নশীল হয়ে নিজেকে সুস্থ রাখতে পারি। শরীরের যত্ন নিলে আমাদের যেমন পরিপাটি দেখাবে ঠিক তেমনি সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে। তাই শরীর সুস্থ রাখার কৌশল এই পোস্টটি ভালো করে পড়ুন।
শরীর সুস্থ রাখার কিছু কৌশল
হাঁটার মাধ্যমেঃ নিয়মিত হাঁটলে শরীর সুস্থ থাকে। সবচেয়ে সহজ উপায়গুলোর মধ্যে এটি অন্যতম। আমরা প্রত্যেকেই হাটা-হাটি করে থাকি। কিন্তু এই হাটার মধ্যে কোনো ধরনের উপকার নেই। কেননা এই হাটার মধ্যে কোনো নিয়ম-নীতি নেই। আমাদের হাটার সময় কোনো ধরনের রিলাক্স আসেনা। আমরা হাটতে গেলে গল্প-গুজব করি, নানান ধরনের আজেবাজে চিন্তা-ভাবনা করি।
আমাদের হাটার নিয়ম হচ্ছে রিলাক্স নিয়ে হাটা। কোনো রকমের দুশ্চিন্তা না রেখে একদম রিলাক্স মুডে প্রতিদিন সকাল বিকাল মাত্র আধ ঘন্টা হাটতে হবে। তাহলে আপনার আমার মন ও শরীর দুই সুস্থ থাকবে। তাছাড়া প্রতিদিন নিয়ম মেনে হাটলে শরীলের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে রক্ত চলাচলেও কোনো প্রকার অসুবিধার সৃষ্টি হয়না।
কালোজিরার কিছু উপকারীতা ও গুনাগুন যা শরীরের জন্য খুবেই উপকারী
সাঁতার কাটার মাধ্যমেঃ পুরো শরীরকে সুস্থ রাখতে সাঁতারের মাধ্যমটা অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য। কেননা সাঁতার কাটার সময় আপনার সমস্ত শরীরকে নাড়াতে হবে। এতে আপনার শরীরের মাংসপেশী সজাগ ও সচল হয়ে যায়। এটি করলে আপনার শরীরে যেকোনো ধরনের ব্যাথা থাকলে তা খুব তাড়াতাড়ি দূর হয়ে যাবে।
এটি শরীরের রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া বৃদ্ধি করে। আপনি পুরোপুরি সুস্থ-সবল থাকতে কম করে হলেও মাসে বা সপ্তাহে দু-এক বার এক ঘণ্টা করে সময় নিযে সাঁতার কাটুন। শুধু সাঁতারই আপনার শরীরের পুরো শরীরের ব্যায়ামের কাজ করে থাকবে।
পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার মাধ্যমেঃ আমরাজানি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা ঈমানের অঙ্গ। ইসলামে সবসময়ই পরিষ্কার ও পাক-পবিত্র থাকার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু আমরা কেউ পরিষ্কার থাকতে পারিনা বা পরিষ্কার থাকতে সময় হয়ে ওঠেনা।
আমাদের উচিৎ হবে সবসময়ই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন পোশাক পরিধান করা এবং নিজেকে পবিত্র রাখা। আমরা ওজু করার মাধ্যমেও পবিত্র থাকতে পারি। নিজেকে পবিত্র এবং পরিষ্কার কাপড় পরিধান করলে নিজেকে যেমন ভালো লাগবে ঠিক তেমনি শরীর-মন সুস্থ থাকবে।
শরীর সুস্থ রাখার সহজ উপায়
প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ধূমপান ত্যাগের মাধ্যমেঃ আমাদের সমাজে অনেকেই ধূমপান করে থাকে। এমনকি আমরা অনেকেই ধূমপানের সাথে জড়িত। আমরা যারা নিজেরাই ধূমপান করি তারা আজ থেকেই ধূমপান করা ত্যাগ করব। কেননা এটি এমন বাহক যা করুণ মৃত্যুর পথে ধাবিত করে।
ইসলামি ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম | বাড়িতে বসেই ব্যাংকে একাউন্ট করুন
সোনালী ব্যাংকে একাউন্ট খোলার নিয়ম দুই মিনিটেই ব্যাংকা অ্যাকাউন্ট করুন
আর যারা পরোক্ষভাবে ধূমপান করি অর্থাৎ অন্যেরা যখন ধূমপান করে তখন আপনাদের উচিৎ মুখে মাস্ক ব্যবহার করা বা নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রাখা। মাস্ক ব্যবহারের আরেকটি ভাল দিক হচ্ছে এর মাধ্যমে রোগজীবানু এবং অন্যান্য ধূলিকণা থেকে নিজেকে রক্ষা করা।
রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমার অভ্যাসঃ আমদের অধিকাংশরাই শহরে বাস করে। শহরের মানুষের বেশিরভাগ অনেক রাত করে ঘুমান। তারা অফিস করে এসে ক্লান্ত শরীর নিয়ে বাসার বিভিন্ন কাজ করতে করতেই অনেক রাত করে ফেলেন। যার কারণে তাদের রাত জেগে থাকার অভ্যাসটা রয়েই যায়। আর এ কারণেই তাদের অসুস্থ থাকার প্রবণতা অনেকের চেয়ে বেশি থাকে।
ঘুমানোর সঠিক সময় হলো রাত ১০-১১ টার মধ্যেই ঘুমিয়ে পড়া। যারা এই সময়ের মধ্যেই ঘুমিয়ে পড়েন তাদের ক্যান্সার হওয়ার প্রবণতা অনেক কম। আমাদের উচিৎ দিনে না ঘুমিয়ে শুধুমাত্র রেস্ট নিয়ে রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যাওয়া। এতে করে শরীর ও মন সুস্থ থাকবে। শরীর সুস্থ রাখার কৌশল
শরীর স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায়
সময়মত খাবার গ্রহণঃ আমরা বিভিন্ন কারণে সময়মত খাবার গ্রহণ করতে পারিনা। সুস্থ থাকার মূলমন্ত্র হচ্ছে নির্দিষ্ট সময়ে খাবার গ্রহণ। আমরা ব্যক্তিগত কর্মজীবনে ব্যস্ততার কারণে নিজের খাবার সময়ই ভুলে যাই। এতে করে শরীর খারপ হয়ে যায় এবং নানান রোগ এসে শরীরে বাসা বাধে। খাবার গ্রহণে বিঘ্ন ঘটালে আমাদের হজম প্রণালীতে হজম করতে সমস্যা হয়। এতে বিরাট ক্ষতি হতে পারে।
শাকসবজি ও ফলমূল গ্রহণঃ আমাদের শরীরের তিন ভাগই পানি। পানির এই বৃহৎ অংশই আমাদের শরীরের সুস্থতা বজায় রাখে ও মন ভালো রাখে। আর শাকসবজি ও ফলমূলে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ যা আমাদের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের জন্য বিশেষ উপকারী।
রবি মিনিট অফার কোড 2021 মিনিট ইন্টারনেট এসএমএস কেনার কোড দেখুন
পাকা ও কাঁচা ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন যা আমাদের শরীরের সব ধরনের ঘাটতি পূরণে সহায়তা করে থাকে। আমাদের উচিৎ সুস্থ থাকতে প্রতিদিন কমপক্ষে একটি করে ফল খাওয়া। যাতে করে আমরা সুস্থ-সবল ভাবে চলতে পারি।
পানি বেশি করে খাওয়াঃ আমাদের দেহের সিংঘভাগ হচ্ছে পানিতে ভরা। আমাদের উচিৎ দিনে কমপক্ষে ২-৩ লিটার পানি গ্রহণ। পর্যাপ্ত পানি গ্রহণের ফলে আমাদের হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতেও পানির ব্যবহার রয়েছে। কেননা আমরা যে ফল খাই সে ফলেই রয়েছে প্রচুর পরিমাণে মিনারেল পদার্থ। এটি রক্ত পরিষ্কারেও বিশেষ উপকারী।