রাসুল (সঃ) একটি বিড়ালের সাথে কি ব্যাবহার করলেন জেনে নিন

আসসালামু আলাইকুম আশা করছি আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের অশেষ রহমতে আপনারা সকলেই ভাল আছেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহিসসালাম একদিন কোন এক জায়গায় বসে আছেন।

রাসুল (সঃ) একটি বিড়ালের সাথে কি ব্যাবহার করলেন জেনে নিন

তার পবিত্র পরিচ্ছদের একাংশে একটি বিড়াল পরম ভালোবেসে ঘুমাচ্ছিল। মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহিস সালাম এই বিড়ালটাকে টেনে তুলে দেন নাই, সাড়া দেন নাই, লাঠি দিয়ে দূরে দাঁড়িয়ে দেন নাই, বিড়ালটার ঘুম ভেঙে যেতে পারে পাশে বিড়ালটার কষ্ট হয় এই ভেবে তিনি তার গায়ে হাত বুলিয়ে দেখে ওদের নাই, তিনি যা করেছিলেন যা কেউ কল্পনাও করতে পারবে না

বিড়ালের এঁটো খেলে কি হয়

বাস্তবে করা তো দূরের কথা মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহিসসালাম আলতো করে ঘুমন্ত বিড়ালটার সমপরিমাণ জায়গা রেখে নিজের পোশাকের বাকি অংশটুকু কেটে ফেলে ছিলেন। সেই ছেঁড়া পোশাক পরেই তিনি দিব্যি নামাজে রওনা দিলেন। একদিনের প্রসিদ্ধ সাহাবী বিড়ালছানা করে নতুন নয় বেশ কয়েকবার বিড়াল কোলে নিয়ে আদর করতে করতে মসজিদে আসতেন।

রাসুল (সঃ) একটি বিড়ালের সাথে কি ব্যাবহার করলেন জেনে নিন

নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহিস সালাম এর কাছে ধর্ম শিক্ষা গ্রহণ করতে আসলে তার কাছে বিড়াল থাকতো। কোলে বিড়াল কে আদর করতে থাকা অবস্থায় নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহিস সালাম তাকে ডাক দিলেন। এই বিড়ালের বাবা এদিকে আসো ভদ্রলোকের ভ্রু কুচকায় না। সরল বোকা মানুষের মতো তিনি মুচকি হাসলেন, প্রিয় শিক্ষকের কাছে এই ডাকটা বেশ মনে ধরলো।

সিদ্ধান্ত নিলেন নিজের নামটাই বদলে ফেললেন, নবীর ভালবাসার নিদর্শন এর দরুন আমরা সকলেই তাকে বিড়ালের বাপ বলে ডাকি। সহি হাদিসের সর্বোচ্চ পরিশুদ্ধ বর্ণনাকারী হিসেবে তিনি আবু হুরাইরা নামে পরিচিত। মুখ সহ অসংখ্য গুরুত্বপূর্ণ মসজিদে বিড়ালের অবাধ প্রবেশ রয়েছে। এরা প্রতিবাদকারীর পাশে ঘুমায়, গা ঘেসে বসে থাকে, যেখানে সেখানে মানুষের আদর ভালোবাসা লাই দিয়ে গড়া অদ্ভুত এক বিলাস প্রবন প্রাণী।

বিড়ালের উপকারিতা ও অপকারিতা

এটা কারা কাবসাব্বিন্তু কাব ইবন মালেক রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি ছিলেন আবু কাতাদাহ রাদিয়াল্লাহু আনহুর পুত্রবধূ আবু কাতাদাহ রাদিয়াল্লাহু আনহা তার নিকটে ছিলেন। তিনি তার জন্য অজুর পানির আনলেন। একটা বিড়ালের আগমন ঘটল এবং সেই বিড়ালটা ওযুর পাথর থেকে পানি পান করতে শুরু করল এবং কাতাদাহ রাদিয়াল্লাহু আনহা সেই পাখিটাকে তার জন্য কা্ত করে ধরে রাখলেন।

যে পর্যন্ত না বিড়ালের পান করা শেষ হয় কাবসা রাদিয়াল্লাহু আনহা তখন বললেন। তিনি আমার দিকে তাকিয়ে দেখলেন আমি তার দিকে চেয়ে আছি তিনি আমাকে বললেন আমার ভাতিজি তোমার কাছে কি এটা আশ্চর্য লাগছে। আমি উত্তরে বললাম জিহা তখন তিনি বললেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহিস সালাম বলেছেন বিড়াল নাপাক নয়।

এটা তোমাদের আশেপাশে ঘনঘন বিচরণকারী এবং তারিণী সুনানে তিরমিজি হাদিস নং৯২ ইবনে মাজাহ হাদিস নং ৩৬৭ আবু দাউদ হাদিস নং ৭৫ আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ চাঁদে ইবনে দিনার আজ তমার হতে তার মায়ের সূত্রে বর্ণিত একদা তার মনে তাকে হযরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহার নিকট প্রেরণ করলেন।

ঘরে বিড়াল থাকলে কি নামাজ হবে

অতঃপর আমি তার নিকট পৌঁছে দেখতে পাই যে তিনি তখন নামাজ রত রয়েছেন তিনি আমাকে হারিয়ে চার-পাঁচ ফোঁটা রাখার জন্য ইশারা করলেন। ইত্যবসরে সেখানে একটা বিড়াল এসে সেই পাত্রীকে কিছু খেয়ে ফেলল হযরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা নামাজ শেষ করে বিড়ালটা যে স্থান থেকে খেয়ে ছিল, সেখান থেকেই খেতে আরম্ভ করলেন এবং বললেন নিশ্চয়ই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহিস সালাম বলেছেন বিড়াল অপবিত্র প্রাণী নয়।

রাসুল (সঃ) একটি বিড়ালের সাথে কি ব্যাবহার করলেন জেনে নিন

এরা তোমাদের আশেপাশেই ঘোরাফেরা করে অতঃপর হযরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন আমি রাসূলুল্লাহ নাহু আলাইহিস সালামকে বিধানের উচ্ছিষ্ট পানি দ্বারা অজু করতে দেখেছি। সুনানে আবু দাউদ হাদিস নং.৭৬ যারা মনে করে থাকে বিশাল একটা অপবিত্র অপছন্দনীয় প্রাণী। এই পোস্টসটি  অবশ্যই তাদের কাছে পৌঁছে দিবেন যেন তাদের ভুল ভেঙে যায়।

বিড়াল নিয়ে ইসলামিক উক্তি

আপনারা কারা কারা বিড়াল খুব বেশি পছন্দ করেন এবং পালন করেন অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। আল্লাহ তাআলা আমাদের সকলকে ইসলামিক উপায়ে জীবন যাপন করতে পারার তৌফিক দান করুন আমিন।

সকলের অবশ্যই কমেন্ট বক্সে আমিন লিখবেন আল্লাহ তালা আমাদের সকলের দোয়া কবুল করুন এমন শিক্ষণীয় ও জ্ঞান নির্ভর ইসলামের ঘটনা নিয়ে নিয়মিত পোস্টস নিয়ে হাজির হবো ইনশাআল্লাহ

যাতে তারাও নিজেদেরকে সঠিক পথে পরিচালিত করার একটি দিক নির্দেশনা পায়

Add a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *