যে ৩টি রোগ হলে আপনার গুনাহ সমুহ ঝরে পড়বে আর জান্নাতে যাওয়ার রাস্তা সুগম হয়
“আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ” সুপ্রিয়া আলোর পথের পাঠক মন্ডলী আশা করি আপনারা সবাই মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীনের অশেষ কৃপায় ভালো আছেন, সুস্থ আছেন। আর যারা আল্লাহর হুকুমে অসুস্থ আছেন তাদের জন্য সুসংবাদ নিয়েই আজকের রিপোর্টটি সাজিয়েছি।
যে ৩টি রোগ হলে আপনার গুনাহ সমুহ ঝরে পড়বে আর জান্নাতে যাওয়ার রাস্তা সুগম হয়
কি অবাক হচ্ছেন, অবাক হওয়ার কিছু নেই পুরো রিপোর্ট জুড়ে থাকছে অসুস্থ রোগ আক্রান্ত হলে আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের পক্ষ থেকে আপনি কি সুযোগ সুবিধা পাবেন তা নিয়ে। বিশেষ করে তিনটি রোগ নিয়ে আলোচনা করব, যে তিনটি রোগ কোন মুমিন মুসলমান কে আক্রমণ করলে তার জান্নাতের টিকেট আল্লাহর কাছে নির্ধারিত হয়ে যাবে “ইনশাআল্লাহ”।
রোগসমূহ গুনাহের কাফফারা। আমরা বিভিন্ন রোগে অসুস্থ হয়ে পড়ি অসুস্থতার আমাদের গুনাহ ক্ষমার জন্য ওসিলা। মানুষের উপর যে বিপদ আপদ বা কুত্ত হয় তার জন্য তার কর্মফল দায়ী। আবার একইভাবে এসকল অসুস্থতা বিপদ-আপদ মানুষের গুনাহ সম্পর্কে জড়িয়ে দেয়।
“মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম” ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি অসুস্থ অবস্থায় ধৈর্য ও সহিষ্ণুতার সঙ্গে একটি রাত অতিবাহিত করবে আল্লাহ তা’আলা তাঁকে সদ্যোজাত শিশুর নেয় নিষ্পাপ করে দিবেন “সুবাহানাল্লাহ”। সুতরাং রোগমুক্তির জন্য ব্যস্ত হয়ে যাওয়া ঠিক নয় বরং ধৈর্যের সাথে আল্লাহর সাহায্য চাওয়া উচিত।
নামাজ না পড়ে কি জান্নাতে যাওয়া যাবে
“রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম” বলেছেন, দুদকই লোক দেখার ইচ্ছে যাদের তাদের বলো তারা যেন এমন লোককে দেখে আসে যার জীবনে কোনদিন কোন রোগ হয়নি। অর্থাৎ অসুস্থতা ও আমাদের জন্য আল্লাহর তরফ থেকে বিশাল এক নিয়ামত। পাঠক ভাইদের কেউ এই হাদীসটির মূল অর্থ গ্রহণ করবেন , সুস্থতাও কিন্তু আল্লাহ পাকের নিয়ামত।
কেননা হযরত মূসা আলাইহিস সাল্লাম যখন আল্লাহকে প্রশ্ন করেছিলেন, হে আল্লাহ, আপনি যদি বান্দা হতেন তাহলে আপনি আপনার সৃষ্টিকর্তার কাছে সর্বপ্রথম কি চাইবেন। তখন আল্লাহ পাক বলেন আমি আমার রবের কাছে সুস্থতা চাইতাম, সুস্থতা আল্লাহ পাকের নিয়ামত। তার থেকে বড় নেয়ামত হচ্ছে আল্লাহ পাক পুরো জীবনের বাঁকে বাঁকে কিছু রোগ-শোক দিয়ে মানুষকে পরীক্ষা করবেন।
আর এর মাধ্যমে তার গুনাহ গুলো ক্ষমা করে দিবেন। মূলত এ হাদীস দ্বারা একজন বিশেষ ব্যক্তিকে বোঝানো হয়েছে তার নাম হচ্ছে ফেরাউন। যে ব্যক্তিটি মায়ের পেট থেকে ভূমিষ্ঠ হওয়া থেকে শুরু করে মৃত্যুর আগের দিন পর্যন্ত পুরো জীবন কালে একবারের জন্য অসুস্থ হয়নাই। অপর হাদিসে এসেছে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, নিশ্চয় কোন মুমিনের যে রোগ হয় তার বিনিময়ে আল্লাহ তার পূর্বের গুনাহ মাফ করে দেন।
জান্নাতে যেতে হলে কি করতে হবে
সুপ্রিয় পাঠক মন্ডলী আমরা পোস্ট এর শুরুতে বলেছিলাম বিশেষ দিনটি রোগের কথা যা সচরাচর আমাদের হয়ে থাকে। হাদিস থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে আমরা জানতে পেরেছি এর তিনটি রোগ আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীনের পক্ষ থেকে তার বান্দার জন্য অভিশাপ নয় বরং নেয়ামত মাধম।
- ইসলামিক উপায় স্মৃতিশক্তি বাড়াবেন কিভাবে জেনে নিন
- রাসুল (সঃ) কেন সেদিন হারিয়ে গিয়েছিলো, কি ঘটেছিল সেদিন
- নাম পরিবর্তন করুন পাই নেটওয়ার্কে সাহায্যে
- জীবনে অবহেলিত হলে কি করা দরকার জেনে নিন
সর্দি জ্বরঃ তার মধ্যে সর্বপ্রথম রোগটি হচ্ছে সর্দি জ্বর আর সর্দি জ্বরে আমরা অধিকাংশ মানুষই ভুগে থাকে। হাদীস শরীফে এসেছে সর্দি-জ্বরের মাধ্যমে আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন মানুষের শরীর থেকে বিষাক্ত জীবাণু বের করে দেয়। বিশেষ করে যার সর্দি হবে সে কোনদিন পাগল হবে না “সুবাহানাল্লাহ”।
চুলকানিঃ যে রোগটি হাদীস শরীফে এসেছে সে রোগটির নাম হচ্ছে চুলকানি। যাকে আমরা বর্তমান ভাষায় এলার্জি বলতে পারি। আর এ রোগে আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষই ভুগে থাকেন। বিশেষ করে ধুলাবালি বিষাক্ত পলিউশন থেকে এ রোগ হয় বলে মেডিকেল বিশেষজ্ঞদের মতামত। কিন্তু হাদীস শরীফে এসেছে যার চুলকানি রোগ হবে শরীর জুড়ে কম-বেশি চুলকানী থাকবে। সে ব্যক্তি জীবনে কোনদিন কুষ্ঠ রোগে আক্রান্ত হবেনা। এমনকি তার কোনও দিন শোধ হবে না “সুবহানাল্লাহ”।
কালো মানুষ জান্নাতে যাবে না
চোখ ওঠা রোগঃ তৃতীয় শক্তির কথা হাদীস শরীফে এসেছে সেটি হচ্ছে চোখ ওঠা রোগ। বিচলিত হওয়ার কিছু নেই কারণ হাদিস অনুযায়ী কোন মানুষের যদি চোখ উঠিয়ে তাহলে বুঝতে হবে সে কোনদিন অন্ধ হবে না। আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন তাকে অন্ধ হওয়া থেকে মুক্তি দান করেছেন “সুবহানাল্লাহ”।
কিন্তু আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবার এই উপদেশ দিয়েছেন যখনই তোমাদের কোন রোগ আক্রমণ হয় তোমরা সাথে সাথেই আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা করো। পাশাপাশি চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করো। সুতরাং যে কোন রোগ শোকে আমরা অবশ্যই আল্লাহর সাহায্য চাওয়ার পাশাপাশি চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করবে। কেননা চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নত এর অংশ।
আর সর্বশেষ আল্লাহর রাসূলের উপদেষ্টা হচ্ছে রোগশোকে কখনো গালি দিও না। যারা আল্লাহর একজন নবী হযরত আইয়ুব আলাইহিস সালাম তিনি দীর্ঘ .১২ বছর কঠিন দুরারোগ্য ব্যধিতে আক্রান্ত ছিলেন। অথচ একটি মুহূর্তের জন্য আল্লাহকে ভুলে যাননি। তিনি ছিলেন একটা সাম্রাজ্যের রাজা। কিন্তু আল্লাহ. রব্বুল আলামীন যৌনশক্তির পরে তাকে কঠিন একটি পরীক্ষায় নিমজ্জিত করলেন।
জাহান্নামীরা কি জান্নাতে যাবে
১২ বছর পুরো শরীর যুগে এত বেশি পরিমাণে কুষ্ঠ রোগ এবং পচন রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন যে, তার শরীরে পোকা মাকড়ের আক্রমণ হয়েছিল। অতঃপর আল্লাহ তাকে সুস্থতা দান করেন। মুফাসসিরগণ বলেন সুস্থ হওয়ার পরে রাজার মসনদে বর্ষা হযরত আইয়ুব কে একজন বড় দুষ্টু প্রজা প্রশ্ন করেন। হে আইয়ুব তোমার কষ্ট ও যন্ত্রণা সময়ের কথা কি স্মরণে হয়।
তখন উত্তরে আইয়ুব আলাই সাল্লাম বলেছিলেন যে হ্যাঁ সেগুলো এখন থেকে শ্রেষ্ঠ ছিল। একথা শুনে স্বভাব পর্ষদের অনেকে অবাক হয়ে বলেন হে আইয়ুব আপনি কি আমাদের সাথে মশকরা করছেন। আল্লাহ পাক আপনাকে কঠিন দুরারোগ্য ব্যাধি থেকে মুক্তি দিয়ে কষ্টের জীবন থেকে প্রশান্তি দান করে। আজ আবার পুনরায় আপনাকে রাজ্যের শাসনভার দিয়েছেন।
কুষ্ঠ রোগে আক্রান্ত সময়
আপনি আমাদের মহারাজ আর আপনি বলছেন এ সময় থেকে কুষ্ঠ রোগে আক্রান্ত সময় শ্রেষ্ঠ ছিল। তখন শ্রেষ্ঠ ছিল কারণ সে সময় প্রতিদিন মহান আল্লাহ তাঁর কুদরতি মুখ দিয়ে আমার কলমে একবার করে জিজ্ঞেস করতে আইয়ুব তুমি কেমন আছো। একবার সেই একটি শব্দে আমার কলম এতটা প্রশান্তি পেত যা আমি এই রাজ্য বারো বছর শাসন করে ও পাবনা।
সুপ্রিয়া পাঠক মন্ডলী রিপোর্টের শেষ আপনাদের জন্য একটি প্রশ্ন? আল্লাহর তরফ থেকে উপহার স্বরূপ বিশেষ তিনটি রোগের কথা আলোচনা হয়েছে। এই রিপোর্টে আপনাদের প্রত্যেকটি ভাইয়ের কাছে অনুরোধ এই তিনটি রোগের কোন রোগটি বেশিরভাগ আপনাকে আক্রমণ করে থাকে। আমাদের তা কমেন্ট করে জানাবেন।