যে আমল করলে রাসুল (সঃ) নিজ জবানে তিন তিন বার জান্নাতি বলেছেন

আসসালামু আলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহ সুপ্রিয়  পাঠক মন্ডলী আশা করি মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের অশেষ মেহেরবানি ও দোয়ায় আপনারা সবাই ভাল আছেন।

যে আমল করলে রাসুল (সঃ) নিজ জবানে তিন তিন বার জান্নাতি বলেছেন

মুসনাদে আহমাদ ইবনে হাম্বল রাহিমাহুল্লাহ হাদিস আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোন একটি মজলিসে এক আনসারী সাহেবের ব্যাপারে ঘোষণা দিলেন। তিনি বললেন, এখন যেই সাহাবী এসে মসজিদে নববীতে বসবে সে জান্নাতি। সে আনসারী সাহাবী এসে বসলেন এবং সবাই অবাক চোখে তার দিকে তাকিয়ে রইলেন।

যে আমল করলে রাসুল (সঃ) নিজ জবানে তিন তিন বার জান্নাতি বলেছেন

তাদের কারো ব্যাপারে বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ কথা বললেন না। ওমর, ওসমা্‌ আবুবক্কার, সাহাবীর ব্যাপারে বললেন না। কিন্তু বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আনসারী সাহাবী কে জান্নাতি বললেন। কিছুদিন পর আরও একটি মজলিসে বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম ঘোষণা দিলেন।

সাহাবীদের বিভিন্ন ঘটনাঃ

এই এমন একজন সাহাবী এসে এখানে বসবে সেই সাহাবী হবে জান্নাতে। সবাই খেয়াল করল কিছুক্ষণ পর ওই লোকটি তার ঘর থেকে এসে পুনরায় মসজিদে এসে বসলেন। অর্থাৎ বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম যে সাহাবীকে পূর্বে জান্নাতি বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন। আজকেও বৈসাবি এসেই এখানে বসেছে। দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু সাল্লাম বললেন এমন একজন সাহাবী এসে এখানে বসবেন মসজিদে নববীর এই স্থানটিতে সে জান্নাতি।

সবাই খেয়াল করে দেখল আগের সাহাবী এইখানে এসে পৌঁছেছেন আল্লাহু আকবার। বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু ইসলাম পূর্ব থেকেই জানতেন এই লোকটি আসবে জিব্রাইল আলাই সালাম বিশ্বনবীকে জানিয়ে গিয়েছিলেন। আর বিশ্বনবী কিভাবে ৩৩ বার একই ব্যক্তির ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন এবং সেই ব্যক্তি ওই স্থানে এসে বসেছে।

সব সাহাবীরা অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে কি আজিব ব্যাপার আছে এর মধ্যে যে সাহেবের ব্যাপারে বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু ইসলাম তিনবার ঘোষণা দিলেন যে সেই সাহাবী জান্নাতের সবচেয়ে বেশি অবাক হয়েছিলেন শাহীদানা আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আজ তিনি মনে মনে ভাবলেন এটাতো সাধারণ কোনো কথা না যেখানে বিশ্বনবী (সাঃ) বাবার ইসলাম এই ব্যক্তি জান্নাতে বলে দুনিয়ার বুকে তিনবার ঘোষণা দিয়েছেন।

কারা বিনা হিসাবে জাহান্নামে যাবেঃ

নিশ্চয়ই সাহাবীর এমন বিশেষ কোন আমল আছে। যেটা আমাদের মধ্যে নেই। যেমন করেই হোক এই সাহাবীর ভেতরের সকল কথা আমাদের কি জানতে হবে সেইদিন ওমর ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে আকবর পরিকল্পনা করে ওই সাহাবীর বাড়িতে গেলেন। সেখানে গিয়ে বললেন ভাই আমার বাবার সাথে কয়েকদিন ধরে আমার ঝগড়া চলছে ঘরে থাকতে ইচ্ছে কড়ছে না।

আমি তোমার বাড়িতে ভাই মেহমান হয়ে তিন দিন থাকতে চাই। যদি তুমি অনুমতি দাও তাহলে তোমার বাড়িতে আমি তিন দিন থাকতে চাই। সে আনসারী সাহাবী বললেন এই তো আমার সৌভাগ্য, আপনি আমার বাসায় মেহমান হিসেবে থাকবেন আলহামদুলিল্লাহ আসুন আমার বাড়িতে।

আপনাকে স্বাগতম এই ঘরে আমি থাকি এবং মেহমানদের জন্য এই ঘর আপনি মেহমানদের। এই ঘরে থাকে এবং খুব ভালোভাবে ফলো করতে লাগলাম। কখন এই আনসারী সাহাবী কি করে একদিন দুইদিন তিনদিন ফলো করার পরে তিনি সে আনসারী সাহাবী মধ্যে উল্লেখ করার মতো বিশেষ কোন আমল খুঁজে পেলেন না।

সাহাবীদের কষ্টের কাহিনীঃ

তিনদিন পর যখন চলে যা সময় হয়। তখন তিনি সে আনসারী সাহেবের কাছে গিয়ে সোজা সাপটা বলতে লাগলেন তিনি বললেন ও ভাই আসলে আমার বাবার সাথে তেমন বড় কোনো ঝগড়া আমার হয়নি। যে কারণে বাড়ি থেকে বের হয়ে তোমার মেহমান হওয়ার ইচ্ছা। আমি প্রশ্ন করলাম তার পিছনে বিশেষ একটি রহস্য আছে একটি বিশেষ উদ্দেশ্য আছে আনসারী সাহাবী জিজ্ঞেস করলেন।

কিসের উদ্দেশ্য তখন তিনি বলতে লাগলেন, আমরা খেয়াল করেছি রাসূলুল্লাহ সাল্লাম ভিন্ন ভিন্ন তিনটি দিনে তিনটি মজলিসে রাসূল সাল্লাহু সাল্লাম উনাকে জান্নাতি বলে ঘোষণা করেছেন। এবং অবাক ব্যাপার তুমি আসার অন্তত পাঁচ মিনিট পূর্বে আল্লাহর রাসূল ঘোষণা করেছিলেন এখানে এসেছে বুঝবে সে জান্নাতি।

তাই আমি জানার জন্য ব্যাকুল হয়ে আছি এমনকি আমল তুমি করো যার কারণে বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিন-তিনবার তোমাকে জান্নাতি বলে ঘোষণা দিয়েছেন।তোমার খুশি বিশেষ অঙ্গটি কি আমাকে একটু বল কেননা আমি ও জান্নাতে যেতে চাই।এবার সে আনসারী সাহাবী মুখ খুললেন তিনি বললেন ওভাবে আবদুল্লাহ ইবনে ওমর আজ এমন বিশেষ কোন আমল তো আমার নেই। হালাল পন্থায় রুজি করি, ব্যবসা কর্‌ নামাজের সময় নামাজ পড়ি।

সাহাবীদের ঈদ কেমন ছিলঃ

রাতে এসে ঘুমিয়ে যায্‌ সারা রাত ঘুমাই ফজর এর আগে উঠে কিছু সময় তাহাজ্জত পরি, সময় মত জিকির-আজগার করি, কুরআন তেলাওয়াত করি, কিছু দান সদকা করি, যৎসামান্য সবাই যা করে আমিও তো তাই করি, তেমন কোনো বিশেষ আমল তো আমার নেই।

তবে শুনে রাখেন, মনে হয় আমার একটি বিশেষ আমল আল্লাহর রাসূল সে আমলের ব্যাপারে হয়তোবা তোমাদের এমন বক্তব্য দিতে পারেন। হয়তোবা এ কারণে বিশ্বনবী আমার ব্যাপারে  ঘোষণা দিয়েছে। তখন সে সাহাবী বেস্ট উৎসাহের সাথে বলল সেটি হলো আমি প্রতিরাতে প্রতি রাতে আমি যখন আমার বিছানায় ঘুমাতে যায়। তখন আমি কারো ব্যাপারে কোন রাগ হিংসা ক্ষোভ রেখে ঘুমাতে চাই না।

অর্থাৎ ঘুমানোর পূর্বে সারাদিনে ঘটে যাওয়া মানুষের সাথে কাজে কারবারি কেউ যদি আমাকে আঘাত থেকে যদি আমাকে আঘাত করে, কথা বলি মনে কষ্ট দেয় বা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে, যাই কিছু হোক না কেন দুনিয়ার সকল মানুষকে আমি হোটেল থেকে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ক্ষমা করে দিয়ে।একেবারে সবাইকে মুক্ত করে আমি ঘুমোতে চাই।

অর্থাৎ ওই দিন যার সাথে যা হয়েছে সবাইকে মাফ করে দিয়ে আমি একটি প্রশান্ত অন্তর নিয়ে ঘুমোতে যাই ভাই তুমি জানো না আমি যখন আল্লাহর কাছে হাত তুলে বলে আল্লাহ আজকের দিনে যারা। আমার অন্তরে আঘাত দিয়েছে আমার সাথে বেঈমানি করেছে আমাকে কষ্ট দিয়েছে আমার টাকা মেনে নিয়েছে সবাইকে আমি তোমার সন্তুষ্টির জন্য ক্ষমা করে দিলাম।

সাথে সাথে আমার অন্তর একটি জান্নাতি প্রশান্তি এসে ভর করে প্রিয় ভাই আমার দিল বলছে আমার এই আমলটি তুমি খালি চোখে দেখতে পাবা না। ঠিক আছে কিন্তু এটি শ্রেষ্ঠ আমল ঝাড়খন্ডে আল্লাহর রাসূল আমাকে তিন তিনবার নাতি বলে ঘোষণা দিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ সেদিন সারাদিন যে আমাকে যত কথাই বলুক না।

শ্রেষ্ঠ সাহাবীদের নামঃ

কেন আমি কোন কিছুই মনে রাখি না আজ পর্যন্ত কোন মানুষের প্রতি আমার কোন অভিযোগ নেই ঘুমানোর আগে সকল হিংসা রাগ খুব অহংকার ভুলে গিয়ে আমি তাদের সবাইকে মাফ করে দিয়ে তারপর বিছানায় ঘুমাতে যাই।

যে আমল করলে রাসুল (সঃ) নিজ জবানে তিন তিন বার জান্নাতি বলেছেন

শিক্ষা হলো আমরাও যদি প্রতি রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে সকল হিংসা অহংকার ভুলে গিয়ে সকলকে মাফ করে দিয়ে তারপর ঘুমাতে পারি তাহলে সাহাবীর মত মহান আল্লাহ রব্বুল আলামীন আমাদেরকে জান্নাতে হিসেবে কবুল করে।

নিবেন তাই আমাদের উচিত কেউ যদি আমাদের সাথে কিছু অন্যায় করে তাহলে তার বিচার আল্লাহ তা’আলা অবশ্যই করবেন তাই এ সকল কিছু ভুলে গিয়ে সবাইকে মাফ করে দিয়ে তারপর আমরা ঘুমাতে যাব কেননা দুঃখ কষ্ট মনে রাখলে সেটি আমাদের ক্ষতি সেটি আমাদের মনের সব সময় জ্বালা যন্ত্রণা করবে।

২৫ শ্রেনীর মানুষ নামাজী হয়েও জান্নাতে যাবে নাঃ

এটি ভিতরে আমাদের জ্বালিয়ে পুড়িয়ে শেষ করে দিবে তাই এগুলো বয়ে বেড়ানো আমাদের নিজেদেরই করুন আল্লাহ সুবহানাহুওয়া তা’য়ালা বলেন আমার মত থাকি বান্দার দ্বিতীয় বৈশিষ্ট্য হলো তারা কখনো রাগ অহংকার মনের মধ্যে পুষে রাখে না বরং তারা সবাই কে মাফ করে দেয় পরিদর্শক আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে ক্ষমা করে দিন।

এটা আমরা সবাই চাই কিন্তু আমরা নিজেদেরকে নিজেরাই ক্ষমা করতে পারি না সুতরাং যদি আল্লাহ তাআলা ক্ষমা পেতে চান তাহলে অবশ্যই আগে নিজেদেরকে ক্ষমা করার অভ্যাস গড়ে তুলুন।

Add a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *