যে আমল করলে মনের সব নেক আশা পূরণ হবে ইনশাআল্লাহ্

“আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ” সুপ্রিয় আলোর পথের পাঠক মন্ডলী আশা করি মহান রাব্বুল আলামিনের অশেষ মেহেরবানি ও দোয়ায় আপনারা সবাই ভালো আছেন।  আজকে আলোচনা করব একটি দল সম্পর্কে, যে আপনি সেজদারত অবস্থায় ১০ বার পাঠ করলে আল্লাহ মহান আপনার সকল মনের আশা পূরণ করে দিবেন।

যে আমল করলে মনের সব নেক আশা পূরণ হবে ইনশাআল্লাহ্

এমনকি আপনি যা চাইবেন আল্লাহ পাক আপনাকে হেদায়েত দান করবেন। পুরো আমলটি করার নিয়ম জানতে পোস্ট টি শেষ পর্যন্ত না পড়ে যাবেন না। দেখুন আমাদের এই সমাজে কিনা চায়? আমার চাওয়া-পাওয়াগুলো নেক হোক সবাই চায়। আমি আল্লাহ তাআলার কাছে যা চাইবো তিনি যেন তাই পূরণ করে দেন। সবাই চায় আল্লাহ তাআলার প্রিয় বান্দা বান্দি হতে।

যে আমল করলে মনের সব নেক আশা পূরণ হবে ইনশাআল্লাহ্

এজন্য সমাজের সকল মাখলুকাতের আশা আকাঙ্ক্ষাগুলো আল্লাহ সুবহানাহুওয়া তা’য়ালা পূরণ করে থাকেন। আপনি যদি এই দোয়াটি সিজদার ১০ বার পাঠ করতে পারেন, তাহলে আল্লাহ তাআলা আপনার মনের সকল চাওয়া গুলো পূরণ করে দিবেন। আমরা এতদিন মোনাজাতের দোয়া করা শিখেছি? অথচ সিজদার মধ্যে দোয়া করা সম্ভব। সিজদার মধ্যে রব্বুল আলামীনের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ হয়ে যায় বান্দা।

হাদীস শরীফে আছে যে, বান্দা কখন আল্লাহ রব্বুল আলামীনের সবচেয়ে কাছাকাছি চলে যায়। এর একমাত্র উত্তর হাদীস শরীফে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন যে বান্দা সবচেয়ে নিকটবর্তী হয় যখন সিজদায় যায়। তখন বান্দা এবং রব্বুল আলামীনের মধ্যখানে আর কোন গ্যাপ থাকে না। “সুবাহানাল্লাহ আল্লাহু আকবার” আপনি যা চাইবেন আল্লাহ তা’আলা তখন তাই কবুল করবেন।

মনের আশা পূরণ হওয়ার নামাজ

সম্মানিত পাঠক এর জন্য আপনার মনের মধ্যে যথেষ্ট পরিমাণ একক বিশ্বাস থাকতে হবে। আমি সবসময় কথাটি বলে আসছি দোয়া বা আমল। রব্বুল আলামীনের দরবারে কবুলিয়াতের জন্য আপনার দিনের মধ্যে পরিপূর্ণ আস্থা রাখতে হবে। একশতভাগ রাখতে হবে এবং নিয়ম জেনে এবং তা মেনে আমলটি করতে হবে “ইনশাআল্লাহ”

আল্লাহ তাআলা ইচ্ছা আপনি সফলতা পাবেন। এটি করার নিয়ম হলো এই আমলটি করতে হবে আপনাকে তাহাজ্জুতের নামাজের সময়। মনে রাখবেন এই আমলটি আপনি ফরজ নামাজের সিজদায় করতে পারবেন না। এটি করতে হবে নফল নামাজ পড়ার সময়। সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ সময় হল তাহাজ্জুতের নামাজের সময়। কারণে তাহাজ্জুতের নামাজ পড়া হয় শেষ রাতে।

আর হাদীস শরীফে আছে শেষ রাতের একটি বিশেষ সময় আল্লাহ রাব্বুল আলামীন নিচে নেমে এসে বান্দাদের উদ্দেশ্যে বলেন? কার কি প্রয়োজন আমার কাছে চাও। আমি তা পূরণ করে দিব। কি অভাবগ্রস্ত আমার কাছে চাও আমি অভাব মিটিয়ে দিবো, কে ঋণগ্রস্ত আমার কাছে চাও আমি ঋণ পরিশোধ করার তৌফিক দান করব।

কোন দোয়া পড়লে মনের আশা পূরণ হয়

একবার আপনি তখন যদি তাহাজ্জোতের বিছানায় নামাজে দাঁড়িয়ে সেজদারত হয়ে রব্বুল আলামীনের দরবারে ১০ বার পাঠ করেন আল্লাহ তাআলা আপনার মনের ইচ্ছা গুলো পূরণ করে দিবেন। “ইনশাআল্লাহ” দোয়াটি হচ্ছে কোরআন শরীফের আয়াত আমরা সবসময় মনে পড়ে থাকি রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া হাসানা আপনি আমার দুনিয়াতে কল্যাণ দান করুন,মফিল আখিরাতি হাসানা, ইয়া আল্লাহ আপনি আখেরাতেও আমাকে কল্যাণ দান করুন, ও কিনা আযাবান্নার, হে প্রভু আপনি আমাকে জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচান।

মনের সব নেক আশা পূরণ হবে ইনশাআল্লাহ্

“সুরাতুল বাকারা ২২৩  নম্বর আয়াত” আপনি তাহাজ্জুতের নামাজের ভিতরে সেজদারত অবস্থায় প্রথম সেজদাহ দ্বিতীয় সেজদাহ প্রতি রাতেই হোক সেজদার তাসবিহ পাঠ করবে। সেজদারত অবস্থায় দোয়া টি ডিম থেকে খালাস নিয়তে  চোখের পানি ছেড়ে দিয়ে ১০ বার পাঠ করবেন। ১০ বার পাঠ করে আপনি নামাজ শেষ করে কয়েকবার আস্তাগফিরুল্লাহ কয়েকবার দুরুদ শরীফ পড়ে তারপর আল্লাহর কাছে দোয়া করবেন।

কোন সূরা পড়লে মনের আশা পূরণ হয়

“ইনশাআল্লাহ ইনশাআল্লাহ” আপনি যা চাইবেন আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন আপনাকে তাই দান করবেন। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত এদেরকে সর্বশ্রেষ্ঠ দোয়া বলা হয়। হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহিস সালামের সবচেয়ে বেশি পাঠ করতেন। সুপ্রিয় পাঠক দুনিয়াতে আল্লাহ তাআলার যত অলি গলি রয়েছেন  এবং আল্লাহ তাআলার নিকট বান্দার হয়েছেন একমাত্র তাহাজ্জুদের নামাজ এর ফলে অতি তাড়াতাড়ি আল্লাহতায়ালার নিকট  পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে।

এজন্য বেশি বেশি তাহাজ্জুতের নামাজ পড়বেন এবং নামাযের সিজদার মধ্যে কোরআনের আয়াত ১০ বার পাঠ করার চেষ্টা করবেন। ইনশাআল্লাহ আপনি যদি তাহাজ্জুতের নামাজ আদায় করতে না পারেন তাহলে যেকোনো সময় দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করবেন ও সেজদারত অবস্থায় এ দোয়াটি পাঠ করতে পারেন।

তাহাজ্জুদ নামাজের সময় কোন দোয়া পড়লে মনের ইচ্ছা পূরণ হয়

“ইনশাআল্লাহ আল্লাহ” আপনার দোয়া কবুল করে দিবেন এবং আপনার সকল চাওয়া সকল অপূর্ণতা আল্লাহ সুবহানাহুওয়া তা’য়ালা পূরণ করে দিবেন। এই আমলটি আপনি কতদিন করবেন আপনি আল্লাহর কাছে যেই আশা-আকাঙ্ক্ষার কথা বলছেন যে দোয়া গুলো করছেন যতদিন পর্যন্ত না আপনার আশা গুলো পূরণ হয় ততদিন।

আপনি আমলটি করতে থাকবেন তাহাজ্জুদ পড়তে না পারলে দুই রাকাত নফল নামাজ পড়ে হলেও আমলটি করতে থাকবেন। যখন দেখবেন আপনার আশা পূরণ হয়েছে আপনি যা চাইছেন তা পেয়েছেন  তখন সাথে সাথে আমলটি বন্ধ না করে আপনি বেশি বেশি শুকরিয়া আদায় করবেন।

নিঃসন্দেহে আল্লাহ কৃতজ্ঞ ব্যক্তিদের অনেক ভালবাসেন পছন্দ করেন এবং একাধিক দেওয়ার জন্য আমল টি চালিয়ে যেতে পারেন। ইনশাআল্লাহ রব্বুল আলামীনের অজানা তথ্য তার ভান্ডারে অভাব বলতে কোন কথা নেই। তিনি চাইলে খুশি হন বান্দার কাছে চাইলে বান্দা নারাজ হয়।

Add a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *