ব্রেন পাওয়ার আনলক করার সহজ কিছু উপায় দেখুন এখানে

ব্রেন পাওয়ার আনলক করার উপায়ঃ এখন আমি আপনাদেরকে একটি কাজ দিবো, আর সেই কাজটি হলো এক মিনিটের জন্য কোনকিছু না ভেবে একদম নিস্তব্দ হয়ে থাকা। আমি কেনো এই ১ মিনিট নিস্তব্দ হয়ে থাকার কথা বলছি, তা আপনি এই পোস্টটি সম্পূর্ন ভাবে মনোযোগ দিয়ে পড়ার পরে বুঝতে পাবেন।আপনি যদি আমার কথা শুনে ১ মিনিটের জন্য নিস্তব্দ হয়ে থাকার চেষ্ঠা করে থাকেন, তাহলে আপনি নিশ্চই বুঝতে পেরেছেন যে, আপনি  পুরোপুরি ভাবে নিস্তব্দ হয়ে থাকতে পারেননি।

কারন আপনি হয়তো শারিরিক ভাবে নিস্তব্দ হয়েছিলেন কিন্তু আপনার ব্রেন ১ সেকেন্ডের জন্যও নিস্তব্দ ছিলোনা। তার প্রমান আপনি নিজেই, এখন একবার চিন্তা করে দেখুন যে, আপনি যখন শারিরিক এবং মানসিক ভাবে নিস্তব্দ ছিলেন তখন আপনার ব্রেনে এই পোস্টে দেখানো ছবি গুলো এবং আমার বলা প্রথম কথাটি বার বার দেখা দিচ্ছিলো।

ব্রেন পাওয়ার আনলক করার উপায়

এক মিনিট শেষ হয়েছে এই ফটোগুলো আমাদের ব্রেইনে একের পর এক আসতেই থাকবে। আর এরকম কেন হয়ে থাকে জানো কারণ আমাদের ব্রেইন সব সময় কিছু না কিছু ভাবতেই আছে। আমরা যখন ঘুমিয়ে থাকি তখনও আমাদের ব্রেইন কাজ করতে থাকে। তবে এখানে সমস্যা হলো আমাদের ব্রেইন কখনও একটি বিষয় নিয়ে দীর্ঘক্ষন ভাবনা চিন্তা করে না। সেখানে বিভিন্ন ভাবনাচিন্তা চলতে থাকে। আর সেই কারণে কোনো একটি বিষয়ের উপরে আমরা কমপ্লিট প্রকাশ করতে পারিনা। বর্তমান সময়ে মানুষের অ্যাটেনশন, স্পেন ভীষণ কমে গিয়েছে।

ব্রেন পাওয়ার আনলক করার উপায়

তোমরা অনেকেই হয়তো এখন এই ভিডিওটি দেখতে দেখতে এই ভিডিও রিলেটেড অন্য কোন কিছু হয়তো ভাবছো। আবার অনেকেই এই পোস্ট দেখে শেষ করতে পারবে না। কারণ আমি কোন বিষয়কে এক্সপ্লেইন করছি। আর সেটাতে তোমরা কিছু সময় শান্ত হয়ে কনসেনট্রেট করলে তবেই এই বিষয়টি সম্পূর্ণ বুঝতে পারবে। কিন্তু তোমার এটেনশন স্পেন্ট যদি কম হয়ে থাকে তাহলে এই পোস্টটি তুমি কমপ্লিট দেখে শেষ করতে পারবেনা।

একটি রিসার্চ থেকে এটা জানা গিয়েছে যে, একটি ওয়েবসাইট ইউজুয়ালি যেরকম ওপেন হয়। তাছাড়া যদি একটু স্লো ওপেন হয়েছে তাহলে অনেক মানুষই সেটা ক্লোজ করে চলে যাবে। গুগলের সার্চ রেজাল্ট ১০০ শতাংশ হয়ে যায়, তাহলে এক দিনে 8 মিলিয়ন সার্চ গুগল.যাবে। এই এক্সাম্পেল গুলোর মাধ্যমে আমরা যেটা বুঝতে পারছি যে, আমরা কোন একটি বিষয়ের উপরে বেশি সময় কনসেনট্রেট করতে পারছিনা। আর তার জন্য অনেক সমস্যা তৈরি হচ্ছে।

মাথার ব্রেন ভালো রাখার উপায়

আমাদের জীবনে আমরাই আমাদের ব্রেইন কন্ট্রোল করার জায়গায় ব্রেনের কন্ট্রোল আমাদের সমস্ত কিছু ছেড়ে দিয়েছি। কিন্তু যদি আমরা আমাদের ব্রেইন কে কন্ট্রোল করি, একমাত্র তাহলে আমরা যেগুলো ভাবছি সেগুলো অ্যাচিভ করতে পারব। আজকে আমরা আমাদের ব্রেইন কে কিভাবে কন্ট্রোল করতে পারি সেগুলোই জানতে চলেছি। কারণ আমাদের ব্রেইনের কন্ট্রোল আমাদের হাতে থাকলে তবেই আমরা আমাদের জীবনে ইজিলি সাকসেস পেতে পারবো।

অফ ইওর ব্রেনঃ অফ ইওর ব্রেন এখন তুমি বাড়িতে বসে টিভি দেখছ। কিন্তু বাড়ির পাশের রাস্তা থেকে গাড়ি হন সাউন্ড খুব জোরে জোরে আসছে। কিংবা তুমি পড়তে বসেছো আর অন্যদিকে একজন খুব জোরে গান চালিয়ে দিয়েছে। এখন বলো তুমি কি ভালোভাবে টিভি দেখতে পারবে না পড়তে পারবে ? এরকম কিছুই আমাদের ব্রেনের মধ্যে ঘটে চলেছে। আমাদের ব্রেইন কন্টিনুওসলি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ভাবনা চিন্তা করে চলেছে। সেগুলো এনালাইজ করে যাচ্ছে কোন টাকে নিয়ে কমপ্লেইন করছে ,আবার কোনোটা কে ক্রিটিসাইজ করছে।

আর এগুলোর বেশিরভাগই সব অপ্রয়োজনীয় জিনিস। এর কারণে ধীরে ধীরে আমাদের ব্রেনের এনার্জি কম হয়ে যাচ্ছে। আর এরকম অপ্রয়োজনীয় ঠোঁট গুলি হল আমাদের ব্রেনের নয়। আর এই নয় তার কারণে আমরা আমাদের ইম্পরট্যান্ট কাজগুলোতে ভালোভাবে কনসেনট্রেট করতে পারছি না। ঠিক আছে এরকম অপ্রয়োজনীয় বিষয়গুলোর না ভেবে কিভাবে ইম্পরট্যান্ট কাজগুলোতে ভালোভাবে মনোযোগ দেওয়া যায়, সেটা যদি জিজ্ঞাসা করে তাহলে তার জন্য অনেক বড় কিছু করতে হবে না।

মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধির উপায়

যা আমাদের ব্রেন কে অবজাভ করলেই যথেষ্ট। আমাদের ব্রেইনে কি কি বিষয় চলছে সেটা একটু খেয়াল করলেই যথেষ্ট। এরকম খেয়াল করা শুরু করলে তোমার ব্রেন অনেক বিষয় ভাবছে সেটা তুমি বুঝতে পারবে। তারপর তুমি নিজে নিজেই সেটাকে কন্ট্রোলে নিয়ে আসবে। এদিকে ওদিকে তোমার ব্রেইন যেদিকে যেতে চাইছে সেদিকে না গিয়ে তুমি যেগুলো ভাবছো তাকে দিয়ে সেগুলো করিয়ে নেওয়া যাবে। অধার যেটা বলছে যে যখন থেকে তুমি তোমার ব্রেইন কে তোমার শরীরের একটি পাট মনে করবে, তখন থেকে তুমি তোমার ব্রেনের থেকে আলাদা হয়ে তুমি তুমিতো এই পরিবর্তিত হতে পারবে।

এটা শুনতে একটু আলাদা লাগলেও এটাই সত্যি। এমন অনেকেই তার ব্রেইন যে পথে চলছে সে পথে চলছে ব্রিন যেটা বলছে সেটাই সে চোখ বন্ধ করে ফলো করে যাচ্ছে। আর তোমার সাথে ওর এরকম যদি হয় তাহলে তোমার ব্রেন তোমাকে কন্ট্রোল করে যাচ্ছে। কিন্তু তুমি যদি তোমার ব্রেইন কে ফলো করতে শুরু করো। তাহলে তোমার দরকারি জিনিস গুলো তাকে দিয়ে করিয়ে নেওয়া যাবে।

পাস্ট প্রেজেন্ট ফিউচারঃ পাস্ট প্রেজেন্ট ফিউচার আমরা বেশিরভাগ মানুষই দুটো টাইম পিরিয়ড এর উপর বেশি প্রকাশ করে থাকি। একটা হল পাস্ট, আর একটা হল ফিউচার। পে জারা ফোকাস করে তাদেরকে যদি দেখা হয় তারা বেশিরভাগ সময় আগে ঘটে যাওয়া বিষয়গুলো নিয়ে ভাবনা চিন্তা করে যায়। কিন্তু এখন যেটা করছে সেটা এত তাড়াতাড়ি টাইপ করতে পারে না। এক্সাম্পেল অফিসে কাজ করতে বসে বাড়িতে কি কি ঘটেছে সেগুলো নিয়ে ভাবতে থাকবে। আর সেই জন্য তার সামনে থাকা কাজটিতে সেই কনসেনট্রেট করতে পারে না।

ব্রেনোলিয়া খেলে কি হয়

আর বারবার ভুল হয়ে যায়। ফিউচারে যারা প্রকাশ করে তাদেরকে যদি দেখা যায় তারা সকল সময় এর পরে কি করবে সেগুলোই ভাবতে থাকে। ফিউচারে কি করবে সেটা ভেবে ভেবে সে তার প্রেজেন্ট কেই ভালোভাবে ইউজ করতে পারে না। ওরা যেটা বলছে যে, আমরা যদি সকল সময় মাস্টার ফিউচার ভেবে যাই তাহলে আমাদের ব্রেনের ফুল প্রটেকশন আমরা একসেপ্ট করতে পারবো না। আমাদের ব্রেইনের বেস্ট পারফরমেন্স অ্যাকসেপ্ট করার জন্য ম্যাক্সিমাম টাইম প্রেজেন্ট মোমেন্ট প্রিন্ট করতে হবে। প্রেজেন্ট মোমেন্ট ইন ম্যাক্সিমাম টাইম থাকার জন্য এই দুটো বিষয়কে ট্রাই করতে পারো।

মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধির উপায়

নাম্বার ওয়ানঃ তুমি নিজেই নিজেকে একটি প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করো আমি কি এখন নিশ্বাস নিচ্ছি.? এটা জিজ্ঞাসা করার সাথে সাথেই তোমার কন্সেন্ট্রেশন বিশ্বাসের উপরে চলে আসবে। আর তার ফলে সত্যিই তুমি প্রেজেন্ট মোমেন্ট থাকলে একবার আর এল নং ফর্মুলা হলো মেডিটেশন মেডিটেশন করার মাধ্যমে শুধুমাত্র তুমি তোমার বৃদিং এর উপরে কনসেনট্রেট করে তুমি তোমার ব্রেইন স্ট্রোক হতে দাও না। আর তার ফলে তুমি সেই সময় সম্পূর্ণ প্রেজেন্ট মোমেন্ট থাকো আর ধীরে ধীরে এই অভ্যাসটি তোমার লাইফের এপ্লাই হতে থাকে।

নাম্বার টুঃ ইউজ পাওয়ার অফ নও ডেলি আমাদের করা ছোট ছোট কাজ গুলোকে কমপ্লিট কন্সেন্ট্রেশন এর সাথে করার চেষ্টা করো। এক্সাম্পেল এখন তুমি যদি হাত ধুতে যাও তাহলে হাত ধোয়ার সময় তোমার ফুল কন্সেন্ট্রেশন সেটাতে দাও। যে শক্তি দিয়ে হাত দুটো তার স্মেল অনুভব করো। এরকম তুমি তোমার সেনসরি অর্গান গুলো ইউজ করে সেই মুহূর্তটিকে অনুভব করো। এরকম ছোট ছোট বিষয়ের উপরে তুমি যদি প্রকাশ করতে শুরু করো তাহলে একটু একটু করে তোমার কন্সেন্ট্রেশন পাওয়ার ইমপ্রুভ হতে থাকবে।

স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করার ঔষধ

আর এটা হওয়ার মাধ্যমে তুমি তোমার ব্রেনের ফুল ক্যাপাসিটি ইউজ করতে পারবে। শুধুমাত্র প্রকাশ করো প্রেজেন্ট প্রকাশ করো বলছি বলে তুমি তোমার ফিউচার সম্বন্ধে একদম ভেবোনা এটা কিন্তু আমি বলিনি। কিন্তু সকল সময় কেবল ফিউচার লাইফের কথা ভেবে ভেবে তোমার প্রেজেন্ট লাইভ টেস্ট করে ফেলো না। তুমি তোমার ফিউচার এর কথা ভাবলে তবেই তুমি একটি বড় গোল সেভ করতে পারবে। কিন্তু সেই বরবটি এক্সেপ্ট করার পরও হাপিনেস ফর এক্সাম্প্লে তুমি একটি মাউন্টেন ক্লাইম বাট এখন একটি পাহাড় কে দেখে তুমি সেই পাহাড়ের চূড়ায় ওঠার কথা ভাবছো।

এখন তোমাকে যদি একটি হেলিকপ্টারে তুলে ডাইরেক্ট ওই পাহাড়ের চূড়ায় না বিয়ে দেয়া হয় তাহলে তুমি ততটা সন্তুষ্টি পাবে না। অর্থাৎ সন্তুষ্টি ওই পাহাড়ের চূড়ায় নেই সেই একইভাবে কোনরকম গোল সেভ না করে সেই পাহাড়ের নীচে যদি তুমি ঘুরে বেড়াও তাহলে তুমি হ্যাপিনেস পাবে না। আসল হ্যাপিনেস তুমি পাবে ওই পাহাড় টিচার এক্সপেরিয়েন্স এর মাধ্যমে ওই পার্টিতে কষ্ট করে উঠে গিয়ে যখন দাঁড়াবে তখন যে সন্তুষ্টি যে খুশি পাবে।

সেটা অনেক বড় সন্তুষ্টি এখন সত্যিই যদি তুমি হ্যাপিনেস পেতে চাও তাহলে ফাস্ট একটি বড় গোল্ড সেট করো। করে সেটা কষ্ট করে আনজিপ করার যে পথটি অর্থাৎ সেই গোলটি একটিভ করার পেছনে যে যার নেই সেটা তোমাকে এনজয় করতে হবে। সেই প্রেজেন্ট মোমেন্ট ইন ইনজয় করলে তবেই হ্যাপিনেস এম সাকসেস তুমি পাবে। এই সমস্ত কিছুই না পাওয়ার অফ নও এই বইটি থেকেই তোমাদেরকে বলেছি। পোস্ট টি পরার জন্য ধন্যবাদ।

Add a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *