বিজ্ঞানও প্রমাণ করেছে কেন মুসলমানরা শুকরের মাংশ খায় না

আসসালামু আলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহ, ইসলামে শুকরের মাংস কেন হারাম?  বর্তমান বিজ্ঞান সেটা চোখে আঙ্গুল দিয়ে আমাদের প্রমাণ করে দিয়েছে। সুবহানাল্লাহ, ভূপৃষ্ঠের উপর শুকর একমাত্র প্রাণী যাদের কি আপনি পরিষ্কার স্থানে রাখতে পারবেন না।  রাখলেও তারা ময়লা-আবর্জনায় চলে যাবে। আমেরিকা ও ইউরোপের অধিকাংশ মানুষের প্রিয় খাদ্য হচ্ছে শূকরের মাংস।

বিজ্ঞানও প্রমাণ করেছে কেন মুসলমানরা শুকরের মাংশ খায় না

বিজ্ঞান থেকে প্রমাণিত যে এর মাংস অধিক পরিমাণে খাবার ফলে , শূকরের নোংরা চরিত্র সেই সকল মানুষের মধ্যেও ধারণ ও বহন করতে থাকে।  প্রত্যেক ধর্মেরই আলাদা আলাদা মতামত আজ আমরা জানবো। শুকরের মাংস কি শুধুমাত্র ইসলাম ধর্মে হারাম করা হয়েছে ? নাকি অন্যান্য ধর্মেও এর বিধি নিষেধ আছে।

বিজ্ঞানও প্রমাণ করেছে কেন মুসলমানরা শুকরের মাংশ খায় না

এর সাথে সাথে আমরা মেডিকেল সাইন্স এর কিছু তথ্য আপনাদের সামনে তুলে ধরবো ইনশাআল্লাহ । ইসলাম ধর্ম সম্বন্ধে বলা হয়েছে। অবশ্যই আল্লাহ তোমাদের জন্যে হারাম করেছেন রক্ত শূকরের মাংস। যা জবাই করলে আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো নাম উচ্চারণ করা হয়েছে। অতঃপর কেউ সীমালংঘনকারী না হয়ে নিরুপায় হয়ে পড়লে তবে আল্লাহ ক্ষমাশীল।

ইসলামে শুকরের মাংস হারাম কেন

পরম দয়ালু অর্থাৎ কারো যদি এমন পরিস্থিতি হয় যে, পৃথিবীতে খাবার হিসেবে তার সামনে শূকরের মাংস ছাড়া আর কোন কিছুই নেই ।তাহলে, জীবনধারণের জন্য যতটুকু প্রয়োজন ততটুকুই খেলে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দিবেন। কিন্তু যদি এর সম্পর্কে আমরা বিজ্ঞানের দিক থেকে জানতে চাই। তাহলে বিজ্ঞান আমাদের এটি জানিয়ে থাকে যে, একটি দুর্গন্ধযুক্ত প্রাণী এরা সবসময় নোংরা স্থানে বসবাস করতে পছন্দ করে।

সেখানেই তারা ভক্ষণ করে থাকে । এর ফলে শুয়োরের শরীরে অনেক বেশি পরিমাণে নিকৃষ্ট ব্যাকটেরিয়ার জন্ম নিয়ে থাকে । আপনার কাছে আশ্চর্য মনে হবে যে শুকর এমন একটি প্রাণী।  যার শরীর থেকে ঘাম নির্গত হয় না। কারণ ঘামের সাথে যে ময়লা আবর্জনা যাওয়ার কথা ছিল শরীর থেকে ।

শরীরটা ডিটক্স ক্রিকেটের বা জীবনে মুক্ত হওয়ার কথা ছিল ।সে জীবাণু বাজার গুলো শূকরের মাংসের সাথে মিশে যায়।শুয়োরের মাংস কে পেটে হজম হতে মোটামুটি চার থেকে আট ঘণ্টা সময় লেগে যায়।  আর এখান থেকেই এদের শরীরে উপস্থিত টক্সিন। আমাদের শরীরে প্রবেশ করেছে , যার ফলে আমাদের শরীরে অনেক বড় বড় ধরনের রোগ দেখা দিতে পারে।

শুকরের মাংসের অপকারিতা

যেমন হার্ট অ্যাটাক শূকরের মাংস যারা বেশি বেশি পরিমাণে আহার করে থাকেন।  তাদের লিভারের সমস্যা বেশি হয়ে থাকে । যদি প্রতিনিয়ত এদের মাংস খাওয়া হয় । তাহলে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা আরও বেশি বৃদ্ধি পায়। এছাড়া বিভিন্ন কৃমি দ্বারা আক্রান্ত হয়ে থাকে। আর এই ক্রিমি এগুলোর মধ্যে যেটি সবচেয়ে ভয়ানক সেটি হল, তাই নিয়ে আসলাম যেটাকে সহজ ভাষায় ফিতাকৃমি বলা হয়ে থাকে।

এরা পেটের মধ্যে বেড়ে ওঠে । আরও অনেক লম্বা হয় এদের ডিম রক্তপ্রবাহে প্রবেশ করে । এবং দেশের প্রায় প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে ঢুকে সর্বনাশ করতে পারি  । যদি এরা মস্তিষ্কে ঢুকে যায় তাহলে আপনার স্মৃতিভ্রম হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

আবার যদি হৃৎপিণ্ডে ঢুকে যায় তাহলে হৃদপিন্ডের প্রক্রিয়াকে বন্ধ করে দিতে পারে।  এছাড়াও চোখে ঢুকতে পারলে অন্ধত্বের কারণ হয়ে যেতে পারে অর্থাৎ এটা শরীরের যে কোন অঙ্গ প্রত্যঙ্গে কার্যক্ষমতা ধ্বংস করে দিতে পারে । আরেকটা তথ্য এমন পাওয়া যায় যে শূকরের মাংস মানুষের পেশী তৈরিতে খুব একটা সাহায্য করে না।

তখন চর্বি উৎপাদনের উপাদান সবচেয়ে বেশি থাকে আর এই জাতীয় চর্বি বেশিরভাগ রক্তনালিতে জমা হয় ।যার জন্য হাইপারটেনশন হার্ট অ্যাটাকের মতো একটি মারাত্মক রোগের সৃষ্টি হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের কিছু কিছু ডাক্তাররা অনেক ক্ষেত্রে প্রেসক্রিপশনের শুকুরের মাংস নিষিদ্ধকরণ করেন।

ডাক্তাররা অনেক ক্ষেত্রে প্রেসক্রিপশনের শুকুরের মাংস নিষিদ্ধকরণ

অনেক রোগীর জন্য আমেরিকায় প্রায় ৫০ শতাংশ মানুষ হাইপারটেনশনের রোগী।  যদি আপনি আপনার শরীরকে মূল্যবান মনে করে থাকেন, যদি আপনার সামনের জীবনটাকে পরিচ্ছন্ন ভাবে কাটাতে চান, তাহলে শূকরের মাংস কে  পরিত্যাগ করা আপনার জন্য উত্তম হবে।

এবার কথা উঠছে যে সকল মানুষ এটি দাবি করেন, কোরআন হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম নিজেই লিখেছেন, তাহলে তিনি এই তথ্যের সত্যতা কেমন করে জানলেন। সে সময় তাঁর কাছে কোন ল্যাব উপস্থিত ছিল । যেখান থেকে পাওয়া সিদ্ধান্তের পর তিনি আমন্টি কোরআন পাকের মধ্যে বলেছেন। নিশ্চয়ই এমনটি নয় ।

এখানে আমাদের ঈমান  আনতে হবে যে, তিনি আল্লাহ সুবহানাহুওয়া তা’আলার একজন নবী ছিলেন। এবং আল্লাহ সুবহানাহুওয়া তা’আলার সমগ্র পৃথিবীর জন্য উনাকে রহমত হিসেবে পাঠিয়েছে ।আর যার প্রমান, আপনি কোরানের এই আয়াত থেকে পেয়ে যাবেন ।

shukor

আল্লাহ সুবহানাহুওয়া তা’য়ালা সূরা নজম এর তিন থেকে চার নম্বর আয়াতে বর্ণনা করেছেন । আর তিনি মনগড়া কথা বলেন  না । ইসলাম ধর্মের সঙ্গে সঙ্গেই খ্রিস্ট ধর্মের পবিত্র গ্রন্থ বাইবেলের পঞ্চম অধ্যায় টি ও শূকরের মাংস খাওয়া থেকে বিরত থাকার কথা বলা হয়েছে।

হিন্দুরা  শুকরের মাংস খায়

কিন্তু কয়জন খ্রিস্টান মেনে চলে। এখানে আবার হিন্দু ধর্মে মাংস খাওয়া নিষেধ । এর সম্বন্ধে খুব একটা পরিস্কার দলিল পাওয়া যায় না।  বরং গণসঙ্গীতের পঞ্চম অধ্যায় এবং মহাভারতের বনপর্ব শুকরের মাংস কি বৈধ করা হয় হয়েছে।

ভাল তাকবেন আল্লাহ হাফেয

Add a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *