নতুন ভোটার আইডি কার্ড বা নতুন ভোটার হওয়ার নিয়ম
নতুন ভোটার হতে চাইলে বা নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম জানতে আমাদের দেয়া এই পোস্টটির নির্দেশনাগুলো ভালো ভাবে অনুসরণ করুন। আগেই বলে রাখি আপনার যদি নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম বুঝতে সমস্যা হয় তাহলে পোস্টের নিচে গিয়ে কমেন্ট করে আমাদের জানাবেন। তাহলে আমরা আপনার সমস্যার সমাধান দেয়ার চেষ্টা করবো।
নতুন ভোটার আইডি কার্ড বা নতুন ভোটার হওয়ার নিয়ম
অনলাইনে নিবন্ধন করার জন্য প্রতিটি ধাপে সকল তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে। শুধু মাত্র নিজের পূর্ণনাম ছাড়া অন্যান্য সকল তথ্য বাংলায় ইউনিকোডে পুরণ করতে হবে। সকল ধাপ সম্পন্ন হবার পরে প্রিভিউএর মাধ্যমে সকল তথ্য পুনর্বার যাচাই করে দেখতে পাবেন।
এর পরে পিডিএফ ফাইল তৈরি করে সেটি প্রিন্ট করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সহ নিকটস্থ নির্বাচন অফিসে জমা দিতে হবে। নির্বাচন অফিসে জমা দেয়ার পরে তারা আপনার প্রদত্ত তথ্যাদি যাচাই এবং ঠিকানা যাচাইয়ের করার পরে আপনার দেয়া তথ্য গুলো সঠিক বলে বিবেচিত হলে আপনার কার্ড তৈরি হবে। কার্ড তৈরি হওয়ার পরে কার্ডের রশিদ জমা দিয়ে কার্ড সংগ্রহ করতে পাবেন।
ভোটার আইডি কার্ড হারিয়ে গেলে বা ভোটার নিবন্ধন সংক্রান্ত তথ্য করণীয়
অনলাইন থেকে ভোটার আইডি কার্ড দেখার ও বের করার নিয়ম
তিনটি ধাপে (ব্যক্তিগত তথ্য, অন্যান্য তথ্য, বর্তমান ঠিকানা ও স্থায়ী ঠিকানা) দিয়ে নিবন্ধন ফরম পূরণ করতে হবে। এখানে আংশিক ফরম পূরণ করার পরে তা সংরক্ষণ করে পরবর্তীতে বাকি অংশটুকু পূরণ করার সুবিধা রয়েছে। আর এই সবুধা পাওয়ার জন্য আপনাকে অন্তত একটি ধাপ সম্পন্ন করতে হবে।
জাতীয় পরিচয়পত্র সংশ্লিষ্ট হেল্পলাইনের ঠিকানা
- যোগাযোগের ঠিকানাঃ Nirbachan Bhaban (7th – 8th Floor), Agargaon, Dhaka-1207
- nid bd helpline call center number: 105
- nid bd helpline email: [email protected]
- nid bd helpline number: +8801708501261
- যোগাযোগের সময়ঃ রবি-বৃহস্পতি, সকাল ৯:০০টা – বিকাল ৫:০০টা পর্যন্ত
এছাড়া ভোটার আইডি সংক্রান্ত যে কোন হেল্পের প্রযোজন হলে বা আরো বিস্তারিত জানতে এই লিংকে ক্লিক করে ফিশিয়াল ভোটার আইডি হেল্প লাইন ঠিকানাতে যোগাযোগ করুন।
বিঃদ্রঃ স্মার্ট কার্ড বিতরণ ২০২০-২০২১ এর তথ্য জানতে এই লিংকে ক্লিক করে দেখুন।
আপনার ভোটার নিবন্ধন হয়েছে কিন্তু জাতীয় পরিচয় পত্র পাননি?
যারা ভোটার হিসাবে নিবন্ধন হয়েছেন কিন্তু এখনো জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর পাননি, তারা জাতীয় পরিচয় বিবরণী জানতে “ভোটার তথ্য” মেনুতে ক্লিক করে আপনার কাছে রক্ষিত থাকা ফর্ম নম্বর (রশিদ ফর্ম) এবং আপনার জন্ম তারিখ ও ক্যাপচা পুরনের মাধ্যমে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বরটি জেনে নিন।
এরপর “রেজিষ্টার” ক্লিক করে আপনার প্রয়োজনী তথ্য দিয়ে অন-লাইন সেবার জন্য রেজিষ্টেশন সম্পন্ন করুন। এরপর “লগইন” ক্লিক করে আপনার ইউজার পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করুন। এখন “ডাউনলোড” মেনুতে গিয়ে আপনার পরিচয়পত্র কপি ডাউনলোড করুন।
জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য হালনাগাদের জন্য কি কি দলিলাদি প্রয়োজন? সোর্স
১) জাতীয় পরিচয়পত্রধারীর নাম (বাংলা/ইংরেজি) এবং জন্মতারিখ সংশোধনের ক্ষেত্রে, উক্ত সংশোধনের স্বপক্ষে, ক্ষেত্রমত, নিম্নবর্ণিত কাগজপত্র/তথ্যাদি জমা দিতে হইবে।
(ক) শিক্ষাগত যোগ্যতা ন্যূনতম এসএসসি/সমমান হইলে এসএসসি/সমমান সনদপত্র।
(৪) পিতা/মাতার নামের পূর্বে “মৃত” অভিব্যক্তিটি সংযোজন বা বিয়োজন করিতে চাহিলে, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, পিতা/মাতার মৃত্যু সনদের সত্যায়িত অনুলিপি বা তাহাদের জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত অনুলিপি ও জীবিত থাকিবার সমর্থনে সংশ্লিষ্ট এলাকার ইউপি চেয়ারম্যান/পৌর মেয়র/কাউনিসলরের প্রত্যয়নপত্র জমা দিতে হইবে।
(৫) ঠিকানা (বাসা/হোল্ডিং/গ্রাম/রাস্তা/ডাকঘর) সংশোধনের ক্ষেত্রে, সঠিক ঠিকানার স্বপক্ষে বাড়ির দলিল/টেলিফোন, গ্যাস বা পানির বিল/বাড়ি ভাড়ার চুক্তিপত্র/বাড়িভাড়া রশিদের সত্যায়িত অনুলিপি জমা দিতে হইবে।
(৬) রক্তের গ্রুপ সংযোজন বা সংশোধনের ক্ষেত্রে, উহার স্বপক্ষে ডাক্তারী সনদপত্র জমা দিতে হইবে।
(৭) শিক্ষাগত যোগ্যতা সংশোধনের জন্য জাতীয় পরিচয়পত্রধারীর সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্রের সত্যায়িত অনুলিপি জমা দিতে হইবে।
(৮) টিআইএন/ড্রাইভিং লাইসেনস নম্বর/পাসপোর্ট নম্বর সংশোধনের ক্ষেত্রে, প্রয়োজনে, টিআইএন সনদ/ড্রাইভিং লাইসেনস/পাসপোর্টের সত্যায়িত অনুলিপি জমা দিতে হইবে।
ইসলামি ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম | বাড়িতে বসেই ব্যাংকে একাউন্ট করুন
(৯) অন্যবিধ যে কোনো সংশোধনের ক্ষেত্রে, উক্তরূপ সংশোধনের স্বপক্ষে উপযুক্ত সনদ, দলিল ইত্যাদির সত্যায়িত অনুলিপি জমা দিতে হইবে।
(১০) আবেদনপত্রের সহিত দাখিলকৃত অনুলিপিসমূহ নিম্নবর্ণিত ব্যক্তিবর্গ সত্যায়ন করিতে পারিবেন:
(ক) সংসদ সদস্য,
(খ) স্থানীয় সরকারের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি,
(গ) গেজেটেড সরকারি কর্মকর্তা, এবং
(ঘ) মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান।
(১১) অসম্পূর্ণ বা ত্রুটিপূর্ণ আবেদন বাতিল বলিয়া গণ্য হইবে।