দেহের সাথে রুহ সম্পর্ক এবং মৃত্যুর পর আত্মার যা হয় (জেনে নিন)

“আসসালামু আলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহ” একজন ভাই ডক্টর জাকির নায়েকের প্রশ্ন করেন। স্যার,  আমি জানতে চাই ইসলাম ধর্মে আক্তার ধারণাটি কি মানে রুহ মানে কি আপনি জানেন। ভারতীয় দর্শনে আত্মা ও মন কে আলাদা ধরা হয়েছে অথচ পাশ্চাত্য দর্শন এই আত্মা ও মন কে অভিন্ন বলে বিবেচনা করা হয়েছে।

দেহের সাথে রুহ সম্পর্ক এবং মৃত্যুর পর আত্মার যা হয় (জেনে নিন)

তাই আমার প্রথম প্রশ্ন হচ্ছে ইসলামে আত্মার ধারণাটি আসলে কি? এবং দ্বিতীয় প্রশ্নটি হচ্ছে দেশের সঙ্গে আত্মার সম্পর্ক কি? আপনার জানা মতে মৃত্যুর পর আত্মা দেহ ত্যাগ করে কিনা। আপনার জন্য এই জাতীয় অন্যান্য তথ্য আপনি আমাদের কাছে একটু জানাবেন। তাহলে আত্মা এবং দেহর এই সম্পর্ক গুলোর ব্যাপারে আমরা স্পষ্ট ধারণা পাব।

দেহের সাথে রুহ সম্পর্ক এবং মৃত্যুর পর আত্মার যা হয় (জেনে নিন)

জাকির নায়েক বলেন ভাই প্রশ্ন করলেন ইসলামে আপনার ধারণা কি মানব দেহ আত্মার সম্পর্ক এবং মৃত্যুর পর আত্মার কি হবে। এটাই মূলত প্রশ্ন? যতদূর পর্যন্ত আর তার সংশ্লিষ্টতা রয়েছে হচ্ছে মানব দেহের নির্যাস। “আল্লাহ সুবহানাহুওয়া তা’আলার” অন্যান্য সৃষ্টির তুলনায় মূল গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে এটি দিয়ে সর্বশক্তিমান আল্লাহর সৃষ্টি মানুষের সঙ্গেই তাদেরও বড় ধরনের পার্থক্য হচ্ছে এই আত্মা এবং এটাই হচ্ছে সারাংশ।

যা একজন ব্যক্তির মৃত্যুর পরেও থেকে যাবে। বিজ্ঞানে যতটুকু সংশ্লিষ্টতা রয়েছে তাতে বিজ্ঞান আত্মা নিয়ে কথা বলছে না। এখনো বিজ্ঞানের পর্যায় পৌঁছয়নি, যে পর্যায়ে পৌঁছালে আক্তার অন্তঃসার রহস্য উদঘাটন করা যায়। তবে গবেষণা করা হচ্ছে উদাহরণস্বরূপ যেমন মানুষের সাথে তুলনা করলেই যখন কোন জীব মারা যায় মৃত্যুর পরক্ষনেই সেটির ওজনের তারতম্য ঘটে না।

মৃত্যুর পর কারো আত্মা কি দুনিয়াতে আসে

তবে যখন আমরা একজন মানুষের ওজনের বিষয়টি বিশ্লেষণ করি যখন তার জান কবজ করা হয় এবং সে মারা যায় তাৎক্ষণিকভাবেই তার ওজন কমে যায়। এর অর্থ হচ্ছে মৃত্যুর পর মানুষ কিছু হারায় যখন সে মারা যায়। কিন্তু বিজ্ঞান এখনো সেই পর্যায়ে পৌঁছে নিজে পর্যায়ে পৌঁছালে আত্মা আসলে কি তাই স্পষ্টভাবে বলতে পারে। আর তা হচ্ছে মানব দেহের নির্যাস।

পবিত্র কোরআনের সূরা আল-ইমরানের অধ্যায় নম্বর ৩২ আয়াত নম্বর একশত পঞ্চাশটি আল্লাহ তা’আলা বলেন, কুল্লু নাফসিন জাইকাতুল মাউত প্রত্যেককে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। এই আয়াতে ইহকাল হচ্ছে পরকালের জন্য পরীক্ষা। কোরআনে আল্লাহ তা’আলা বলেন, সূরা মুলক অধ্যায় নম্বর ৬৭আয়াত নম্বর ২ আল্লাহ তাআলা জীবন ও মৃত্যু কে সৃষ্টি করেছেন তোমাদের মধ্যে কর্মীকে উত্তম তা জানার জন্য।

মানুষ মারা গেলে রুহ কোথায় থাকে

তাই এই প্রার্থীও জীবন পরকালের জন্য পরীক্ষা এবং প্রত্যেক আত্মাকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতেই হবে। একজন মানুষ মারা গেলে তার আত্মার দেহের মধ্যে থাকে না। কিন্তু বিচার দিবসে যখন তাকে পুনরুত্থিত করা হবে তখন তার করার কাজও পাপ কাজের উপর ভিত্তি করে। সর্বশক্তিমান আল্লাহ.কেয়ামত দিবসে তিনি আপনাকে বেহেশতে দিবেন নাকি যোগাযোগে দিবেন, সেই নির্ধারণ করবেন।

মৃত্যুর পর আত্মার যা হয়

অর্থাৎ তিনি তোমারে কি আমি দিন অর্থাৎ বিচার দিবসের করে। সুতরাং আত্মা জীবিত থাকে আত্মা মরে না এটি কেবল মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে যখন কোন মানুষের দেহ মারা যায়। তখন তার মধ্যে আত্মা থাকে না। আর যখন আত্মা এবং দেহর একসঙ্গে থাকে তখন সে জীবিত। তবে পরকালে সম্পূর্ণ নতুন একটি দেহ দেওয়া হবে এবং সেই দেহ মাঝে আত্মার বেঁচে থাকবে এবং তখন এই জীবনের পরীক্ষার ফলাফলের উপর ভিত্তি করে বেহেশত ও দোযখ দেওয়া হবে।

নাবালক শিশু মারা গেলে তাদের আত্মা কোথায় থাকে

আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন, আপনার আরেকটি প্রশ্ন ছিল, আক্তার মন কি এক? ভাই আপনার মন ভিন্ন আমি আবার ও  বলছি মন ভিন্ন জিনিস। আপনার মন কোথায় আপনারা অনেকেই জানেন। মনের অবস্থান কিন্তু মস্তিষ্কে। সুতরাং এটি একটি গুনবাচক শব্দ। যখন আমরা বলি নিজের কাজে মন দাও তো মনে রাখার কথা বললে লোকেরা মস্তিষ্ক খাটিয়ে ভাবতে শুরু করেছে।

আমাকে এটা মাথায় রাখতে হবে তত তার মানে এটা নয় যে মন মস্তিষ্কের মধ্যে রয়েছে। বরং এটি বিভিন্ন রকমের কিছু একটি তাহলে আবারও প্রমাণিত হলো যে, এমন একটা গুনবাচক শব্দ আমি জানিনা মন কে কোথায় স্থাপন করা হয়েছে কিনা। যখন আমরা মন সম্পর্কে কথা বলি তখন সাধারণত মস্তিষ্ক সম্পর্কে ভাবি। কিন্তু সেটা একটি গুনবাচক শব্দ। আশা করি উত্তরটা পেয়েছেন। আল্লাহ আমাদের সবাইকে সঠিক বুঝ দান করুক আমিন।

Add a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *