টানা ২১ দিন এই নিয়মে মধু খেলে কি হয় জেনে নিন

“আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ” আশা করি আল্লাহর রহমতে আপনারা সবাই ভাল আছেন। পবিত্র  কুরআনে মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন তাদের পেট থেকে বিভিন্ন রঙের পানীয় নির্গত হয় তাতে মানুষের জন্য রয়েছে রোগের প্রতিকার, নিশ্চয় এতে চিন্তাশীল সম্প্রদায়ের জন্যে নিদর্শন রয়েছে। “সূরা নাহল আয়াত নম্বর 69”

টানা ২১ দিন এই নিয়মে মধু খেলে কি হয় জেনে নিন

মধুতে রয়েছে রোগপ্রতিরোধের ক্ষমতা। অস্বীকার করার কোন পথ নেই, বর্তমান চিকিৎসাবিজ্ঞান তা স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছে। যে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পূর্ণ ঔষধ হচ্ছে মধু। প্রাচীনকাল থেকেই বিভিন্ন রোগের ঔষধ তৈরিতে মধুর ব্যবহার হয়ে আসছে। এই মধু খাওয়ার সুন্নাত। আর এই সুন্নত পালন এর মধ্যে রয়েছে কল্যাণ।

টানা ২১ দিন এই নিয়মে মধু খেলে কি হয় জেনে নিন

আমাদের “নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম” মধুক খুব পছন্দ করতেন।  আয়েশা রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহা থেকে বর্ণিত তিনি বলেন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মধু ও মিষ্টি পছন্দ করতেন। সহি বুখারি হাদিস নাম্বারঃ .৫২৬৮।  মধুর গুণের কথা পবিত্র কোরআন ও হাদিসে স্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে সর্ব্বগুণসম্পন্ন এই মধুর গুণের কথা বলে শেষ করা যাবে না।

স্বাস্থ্যসুরক্ষা, চিকিৎসা, সৌন্দর্য চর্চা, সবখানে মধুর ব্যবহার। তাই প্রত্যেকের উচিত খাদ্যতালিকায় কম করে হলেও এক চামচ মধু রাখা। নিয়মিত মধু খেলে উপকার আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন। মোটামুটি .২১  দিন নিয়মিত মধু খেলে যে সমস্ত উপকার গুলো পাওয়া যাবে তা আলোচনা করব।  আপনি পরীক্ষা করে দেখবেন ইনশাআল্লাহ ভালো রেজাল্ট পাবেন। তারপর থেকে আপনি নিজেই মধু খাওয়ায় অভ্যস্ত হয়ে যাবে।

মধু ও গরম পানির উপকারিতা

উপকারঃ তো চলুন প্রথমে উপকার  নিয়ে আলোচনা করব তারপর খাওয়ার নিয়ম নিয়ে আলোচনা। 190 হচ্ছি চেহারার সৌন্দর্য বৃদ্ধি হয় মূলত এমন উপাদান রয়েছে। যা ত্বককে নমনীয় বা কোমল করতে সাহায্য করে ফলে ত্বকে থাকা দীর্ঘদিনের বার্ধক্যের ছাপ আস্তে আস্তে সরে যায়। সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন মুখের ত্বকে ব্যবহার করে  ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।

কারণ মধু মানুষের ত্বকের উপরিভাগের ঋতু কোষ দূর করে মুখের ত্বকে ভাঁজ পড়া রোধ করে এর ফলে চেহারা সুন্দর হয়। এছাড়া মধুতে আছে প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের নির্যাস সূর্যের রস্মির বিরুদ্ধে কাজ করে। এছাড়া শরীরের চামড়া কে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে। এই মধু অনেকটা প্রাকৃতিক সানস্ক্রিন এর কাজ করে। রোদে পোড়া ত্বকের স্বাভাবিক করতেও মধু খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

চার চামচ মধুর সঙ্গে পানি মিশিয়ে প্রতিদিন মুখের ফেসপ্যাক হিসেবে লাগান। দেখবেন রোদে পোড়া কালো দাগ দূর হয়ে চেহারা ঝলমলে হয়ে যাবে। মধুতে বিদ্যমান গ্লুকোজ ও ফ্রুক্টোজ ও শর্করা শরীরের শক্তি সরবরাহের কাজ করে প্রতিদিন সকালে এক চামচ মধু সারাদিনের জন্য দেহের পেশীর ক্লান্তি দূর করতে এবং পর্যাপ্ত এনার্জি ভারাতি ভরপুর সহায়তা করে।

ওজন কমাতে মধু খাওয়ার নিয়ম

যার কারণে দুর্বলতা ও অলসতা আপনাকে গ্রাস করতে পারে না। তৃণমূল হচ্ছে রক্তস্বল্পতা দূর হয়, প্রতিদিন এক গ্লাস পানিতে এক চামচ মধু মিশিয়ে পান করলে মধ্যে বিদ্যমান ক্যালসিয়াম রক্তে প্রবেশ করে এবং রক্তে হিমোগ্লোবিনের ভারসাম্য বজায় রাখে। এভাবে মধুর রক্তস্বল্পতার রোগ প্রতিরোধ করে।  ঠোঁটের কালচে ভাব দূর হয়।

টানা ২১ দিন এই নিয়মে

  রাতে ঘুমের পূর্বে নিয়মিত ঠোটে মধু লাগালে ঠোঁট হয়ে ওঠে নজরকাড়া সুন্দর। ঠোটের উপরে থাকা শুষ্ক ত্বক ও কালচে ভাব দূর করে ত্বককে নরম গোলাপি করে তুলতে সাহায্য করে। এছাড়াও যেকোনো গ্লিসারিন ব্যবহার তুলনায় ঠোটে মধু ব্যবহার শ্রেষ্ঠ হবে। কেননা গ্লিসারিন ব্যবহার শরীরের ভিতরে ফুট থেকে ঢুকে যেতে পারে এবং এতে ক্ষতি হতে পারে আপনার স্টোমাকে।

কিন্তু মধু ঠোঁটে লাগিয়ে রেখে পরে সেটা কি খেয়ে ফেললেও স্বাস্থ্যের কোন অপকারিতা নেই। জানানো হচ্ছে কোলেস্টেরল কম হয় মধু দিয়া। এইচডিএল অর্থাৎ ভালো কোন স্টোন এর মাত্রা বৃদ্ধি করে এবং খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দেয়। ফলে মধু কোলেস্টেরল সংক্রান্ত রোগ থেকে মুক্ত রাখে। গোপন রোগ দূর হয়, যদি কোনো নারী বা পুরুষের যৌন সমস্যা থেকে থাকে।

সকালে খালি পেটে মধু খাওয়ার উপকারিতা

তাহলে নিয়মিত মধু খেলে সে সকল সমস্যা দূর হয়ে যাবে এবং জীবন হয়ে উঠবে সুন্দর। তবে একটা কথা মনে রাখতে হবে, খাঁটি মধু হলেই কেবল মাত্র সকল উপকার পাওয়া যাবে নয়তো কোন উপকার পাওয়া যাবে না। তাই ভালো ব্র্যান্ডের মধু ক্রয় করুন অথবা যারা মধুর চাক ভাঙ্গা তাদের কাছ থেকে নিজের চোখে দেখে কিনুন। অনেকেই গ্রামগঞ্জে বালতিতে করে মধু বিক্রি করে।

মধু কেনার আগে অরজিনাল মধুর চাক তার মধ্যে আছে কিনা তা যাচাই করে নিন। অনেকে এমনটা করে থাকে যে কিছু পুরনো কাটা চাক মধুতে দিয়ে রাখে এবং নকল মধু বিক্রি করে দেয়। অরিজিনাল মধু চেনার অভিজ্ঞতা না থাকলে ভালো ব্র্যান্ডের প্রোডাক্ট কিনুন। চলুন আমরা জেনে নিই মধুর ব্যবহার প্রতিদিন সকালে এক চা চামচ মধুর সঙ্গে মিশিয়ে অথবা দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন। অথবা খালি ও খেতে পারেন।

সকালবেলা মধু খেলে উপকার বেশি পাওয়া যায়। এছাড়া রুটির সঙ্গে অথবা বিস্কুটের সঙ্গে অথবা মুড়ির সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন। আশা করি শীতকাল যেহেতু শুরু হয়েছে এখন থেকে নিয়মিত মধু খাওয়ার অভ্যেস করবেন। ইনশাল্লাহ আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদেরকে সুন্নতি তরিকায় মধু খাওয়ার তৌফিক দান করুক “আমিন”।

Add a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *