ইমাম মাহদীর আগমন কখন হবে জেনে নিন
আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু, কেয়ামতের আলামত এর বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। কিছুদিন ধরেই আমি দেখছি যে এই বুঝি ইসলাম শেষ হয়ে গেল, আর বেশী দেরী নাই।
ইমাম মাহদীর আগমন কখন হবে জেনে নিন
কিছুদিনের মধ্যেই ইমাম মাহদী চলে আসবে, আবার পৃথিবীতে মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠা হবে। ইদানিং এ কথাগুলো চারপাশে খুব জোরেশোরে শোনা যাচ্ছে। আসলে কি তাই? একদল লোক হতে বলবে হ্যাঁ তাইতো ভাবে মুসলিমদের জাদুর দরজা এগুলো বলার অপেক্ষা রাখেনা।
যে মাহদীর আগমন সন্নিকটে আছে সেই তর্কে না যাই এখন মুসলিমদের দুর্দশা নিয়ে কিছু বলি এই উম্মতের উপর সবচেয়ে বড় ভয়াবহ যে দুটি প্রাণী এসেছিল তার একটি এসেছিল। পশ্চিম দিক থেকে আর অপরটি পূর্ব দিক থেকে পশ্চিম থেকে এসেছিল ক্রুসেডার বাহিনী আর পূর্ব থেকে এসেছিল চেঙ্গিস খানের দুর্ধর্ষ মঙ্গল সেনারা তাওহীদের বাণী আলোচনা শুধু মোঙ্গলদের নিয়ে।
ইমাম মাহদীর আগমনের ৭০ টি আলামতঃ
একটি গ্রামের এক বাজারে সবাই কেনাবেচা ও বিভিন্ন ব্যবসায়ী কাজে ব্যস্ত। এমন সময় সে দিক দিয়ে দুজন মঙ্গলিয়ান মহিলা হেঁটে যাচ্ছিল এত মানুষ দেখে চিত্কার করে সবাইকে সাবধান করে বলল কেউ এক চুলও নিজের জায়গা থেকে নড়বে না যে যেখানে আছো চুপচাপ সেখানেই দাঁড়িয়ে থাকো।
তারপর মহিলা দুটি চলে গেল আর বাজারে লোকেরা তাদের আদেশ মত চুপচাপ দাড়িয়ে রইল মেয়ে দুটি ফিরে গিয়ে মঙ্গল যুদ্ধের খবর দিলো তারা এসে অবলীলায় ধরে ধরে সবাইকে হত্যা করে লুটপাট করে চলে গেল। কেউ প্রতিবাদ করল না পালানোর চেষ্টা করল না চুপচাপ দাঁড়িয়ে নিজের মৃত্যুকে মেনে নিলাম।
ইমাম মাহদীর জন্ম কোথায় হবেঃ
কিন্তু কেন জানেন এই মঙ্গল বাহিনী এতই ভয় লাগছিল আর মানুষকে জীবিত ছিল তাদের ব্যাপারে যে তাদের আদেশ অমান্য করে পালানোর মত ইচ্ছা শক্তিটা ও তখনকার লোকের ছিলনা যে এরকম অনেক ঘটনা ইবনে কাসিরের বিদায় নেয়া সহ তৎকালীন বিভিন্ন ইতিহাস গ্রন্থ পাবেন এটা কোন এলাকা।
তলোয়ারের ধার কেমন তা দেখার জন্য ১০ থেকে ১৫ দিন যাকে সামনে পাবে তাকেই হত্যা করত তারপর শুরু হতো লুটপাট মঙ্গলদের আক্রমণের ভয়ে হজ বন্ধ হয়ে। গিয়েছিল লোকজনেরা এদেরকেই হাদিসে বর্ণিত ইয়াজুস মাজুস ভাবা শুরু করেছিল। আলেমরা বই লিখে শুরু করে দিয়েছিল।
- Pinterest ব্যবহার করে খুব দ্রুত ইনকাম শুরু করুন
- যে ৩টি রোগ হলে আপনার গুনাহ সমুহ ঝরে পড়বে আর জান্নাতে যাওয়ার রাস্তা সুগম হয়
- রাসুল (সঃ) কেন সেদিন হারিয়ে গিয়েছিলো, কি ঘটেছিল সেদিন
যে ইয়া’জূজ মা’জূজ বের হয়ে গেছে মুসলিম বিশ্ব যেন নিজেদের অস্তিত্বের শেষ প্রহর গুনছি লোকদের সাথে কোনভাবেই পেরে উঠেনি মিশরের মামলুক রাষ্ট্রকে খানের সাথে হাত মিলিয়ে মোঙ্গলদের আটকে দিতে পেরেছিল তার নিজের রাষ্ট্র কোনোমতে ধরে রাখতে পেরেছিল।
ইমাম মাহদী কে চেনার উপায়ঃ
কিন্তু মোঙ্গলদের তেমন কোন ক্ষতি করতে বাধ্য হন কৃত এলাকা থেকে তাদের তাড়াতে পারিনি তারপর কি হলো ইসলাম কি শেষ হয়ে গেল মুসলিমরা কি নিশ্চিহ্ন হয়ে গেল দুনিয়া থেকে মোঙ্গলবাহিনীর কোন নাম গন্ধই যুগে খুঁজে না পাওয়া গেলেও আল্লাহর রহমতে ২০০ কোটি মুসলিমদের অস্তিত্ব।
কিন্তু দুনিয়ার কোনায় কোনায় খুঁজে পাবেন কোথায় গেল চেঙ্গিস খানের রেখে যাওয়া সেই দুর্ধর্ষ যোদ্ধারা উত্তর ইতিহাসের পাতায়।আমাদের যোদ্ধারা হার মেনে নিলেও আলেমরা কখনোই হার মানে নাই তারা দ্বীনের দাওয়াত দিয়ে বেড়ানোকে যারা জীবনের লক্ষ্য স্থির করে।
রেখেছে তারা নিজের জীবনের পরোয়া না করেই সেই অসভ্য বর্বর মোঙ্গলদের মাঝেই দাওয়াতী কাজ করে কাছে আল্লাহ তাদের চেষ্টা বৃথা যেতে দেননি পরবর্তী ৩০ থেকে ৪০ বছরে মোঙ্গলবাহিনীর সহ তাদের অধ্যুষিত এলাকাগুলো মুসলিমদের পদচারণায় মসজিদ-মাদ্রাসা দিয়ে ভরে ওঠে বিজেপি পরাজিত।
ইমাম মাহদীর আগমন কোথায় হবেঃ
জাতির ধর্ম গ্রহণ করে এমন অলৌকিক ঘটনা দুনিয়ার মানুষ আগে দেখেছে বলে মনে হয়না মধ্য এশিয়ার মুসলিম দেশগুলোর ও রাশিয়ার বিশাল। মুসলিম জনগোষ্ঠীর মোঙ্গলদের বংশধর ভাবা হয় এই মঙ্গলবার যাদের কারণে মুসলিমরা একসময় অস্তিত্ব সংকটে ঢুকেছিল।
তারা পরবর্তীতে মুসলমানদের পতাকা হাতে অর্ধ পৃথিবীর বেরিয়েছে মঙ্গল বংশোদ্ভূত মুসলিম সেনাপতির তৈমুর লং এর বিজয় অভিযানের কথা গোটা বিশ্ব জানে ইউরোপিয়ান থেকে নিয়ে রাশেদ বিশাল অংশ সিরিয়া থেকে ইরাক-ইরান হয়ে দিল্লী পর্যন্ত দখল করে নিয়েছিল।
এই তৈমুর লংয়ের e1 না দিয়ে ভারত উপমহাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে শক্তিশালী ও সমৃদ্ধশালী সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করে যাকে আমরা সম্রাট বাবর না আমি চিনি সে সময় মালয়েশিয়া ইন্দোনেশিয়া অঞ্চলে ইসলামের ব্যাপক প্রচার ঘটে ভেড়ার পালের মত দলে দলে মানুষ ইসলাম গ্রহণ করে।
আবার সেটা কোন প্রকার যুদ্ধ ছাড়াই এই অঞ্চলের মুসলিমরা কখনো অস্ত্রহাতে প্রবেশ করেনি ইসলাম কিন্তু শেষ হয়ে যায়নি শুধু সাময়িকভাবে একটু দুরবস্থা গেছে ইসলামের উপর দিয়া যারা ভেবেছিল ইসলামকে শেষ করে দেবে তাঁদেরি আর খুঁজে পাওয়া যায়নি পরবর্তীতে এতগুলো কথা বলার কারণ হচ্ছে এই।
ইমাম মাহদি এর জীবনীঃ
যে মানুষের মাঝে দাওয়াতের কোনো আগ্রহ নেই আমরা ইসলামের দুদিন থেকে ব্যথিত হই কিন্তু নিজেরা কিউট দাওয়াতী কাজ করতে চাই না সবাই ভাবছে ইমাম মাহদী এসে সব ঠিক করে ফেলবেন। এখন আর আমি দাওয়াত দিয়ে কি কাজ হবে।
একবার ভাবেন তো সেই যুগের চেয়েও কি খারাপ অবস্থায় আছি আমরা তারাও কি সবকিছু ছেড়ে ইমাম মাহাদীর আগমনের জন্য বসেছিল দাওয়াতের গুরুত্ব ও ফজিলত এর ব্যাপারে আমরা কিছুই জানিনা আমাদের মাথায় শুধু।
একটি ধরনের কাজ করে এখন যে ক্ষমতা দখল না করে ইসলাম প্রচার সম্ভব না এই সময়টাতে সময় যাদের চক্রান্তে আমরা আজ কোমর ভাঙ্গা জাতিতে পরিণত হয়েছে তারা জানে না। যে এই জাতির মূল শক্তি কোন ধারালো অস্ত্র বা বিশাল সেনাবাহিনী নয়।
এখনও আমাদের মাঝে কোরআন আছে সুন্নাহ আছে আর কোরান আসুন আর যতদিন ছিল কোন সেনাবাহিনী পরমাণু শক্তি আমাদের সামনে টিকতে পারেনি কোনোদিন পারবেও না ইনশাল্লাহ সুপ্রিয় দর্শক।
এ সম্পর্কে আপনাদের কি মতামত অবশ্যই জানাবেন মহান রাব্বুল আলামিন আমাদের দাওয়াতি কাজ করার তৌফিক দান করুক আমিন.