আলবার্ট আইনস্টাইন এর জীবনে ঘোটে যাওয়া কিছু কথা
আলবার্ট আইনস্টাইন: বিজ্ঞানীদের বিজ্ঞানী যাকে বলা হয়, সেই অ্যালবার্ট আইনস্টাইন সম্পর্কিত কিছু মজার ঘটনা এবং দুর্দান্ত রসবোধ সম্পর্কে জানব। আজ আইনস্টাইনের এক সহকর্মী একদিন তার টেলিফোন নম্বর টা চাইলে, আইনস্টাইন তখন একটি টেলিফোন বই খুঁজে বের করলে এবং সেই বই থেকে তার নিজের নম্বরটা খুঁজতে লাগলেন।
আলবার্ট আইনস্টাইন এর জীবনে গোটে যাওয়া কিছু কথা
সহকর্মী তাকে বললেন কি ব্যাপার নিজের টেলিফোন নম্বর টাও মনে নেই আপনার? আইনস্টাইন বললেন, না তার দরকারই বা কী যেটা আপনি বইতে পাবেন, সে তথ্যটা মুখস্ত করে মস্তিষ্ক খরচ করবেন কেন।হাজারও সালে কৌতুক অভিনেতা চার্লি চ্যাপলিন আইনস্টাইনকে আমন্ত্রণ জানা তার একটি শহর দেখার জন্য।
তখন চ্যাপলিনের সিটিলাইটস সিনেমার প্রদর্শনী চলছিলো এরপর তারা দুজন শহরের পথ ধরে হেটে যাচ্ছিলে্ তখন চ্যাপলিন আইনস্টাইন কে জিজ্ঞেস করলেন, সবাই আমাকে সহজেই বুঝে এজন্যই আমার এত জনপ্রিয়তা।কিন্তু মানুষ আপনাকে কেন এত পছন্দ করে বুঝলাম না? আইনস্টাইন প্রত্যুত্তরে সহজে জানালে, কেউ আমাকে সহজে বুঝতে পারে না বলেই আমার এই জনপ্রিয়তা।
একবার আইনস্টাইন ট্রেনে চেপে যাচ্ছিলেন, চেকার সকলের টিকিট চেক করার এক পর্যায়ে আইনস্টাইনের কাছে এসে টিকিট দেখতে চাইলেন, কিন্তু আইনস্টাইন তার থেকে খুঁজে পাচ্ছিলেন না সেখানে আইনস্টাইনকে চিনতে পেরে বললেন স্যার আপনাকে আমি চিনতে পেরেছি।
আপনি নিশ্চয়ই টিকিট কেটে উঠেছেন আপনাকে টিকিট দেখাতে হবে না। আইনস্টাইন কিছুটা চিন্তিত ভঙ্গিতে বললেন।ওটা আমাকে খুঁজে বের করতেই হবে, না পেলে আমি জানবো কি করে যে আমি কোথায় যাচ্ছিলাম। একদিন সন্ধ্যাবেলায় প্রিন্সটনের ডিরেক্টরের বাড়িতে ফোন এলো দয়া করে যদি আইনস্টাইনের বাড়ির নম্বর টা জানান, আইনস্টাইনের বাড়ির নম্বর কাউকে জানানো হবে না কঠিন গলায় তা জানিয়ে ফোনটা নামিয়ে রাখলেন।
নিজের ভুল ভ্রান্তি নিয়ে কি ভাবছেন
ডিরেকটর খানিক পরে আবারও ফোন বেজে উঠল, ওপাশ থেকে শোনা গেল আমি আইনস্টাইন বলছি বাড়ির নম্বর আর রাস্তা দুটোই ভুলে গিয়েছি, যদি দয়া করে বলে দেন মানুষ মাত্রই ভুল হয়, নিজের ভুল ভ্রান্তি নিয়ে কি ভাবছেন আইনস্টাইন। ১৯৩৫ সালে প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটি তে তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল। পড়াশোনা ও গবেষণার জন্য আপনার কি কি দরকার? আইনস্টাইন বলেছিলেন একটা ডিস্ক, কিছু কাগজ আর একটা পেন্সিল সঙ্গে দরকার বড় একটা ডাস্টবিন। যেখানে আমার সব ভুল করা বা ভুলে ভরা কাগজগুলো খেলব।
ভবিষ্যতে কি আছে?আলবার্ট আইনস্টাইনের কাছে একবার জানতে চাওয়া হয়েছিল। জবাবে নির্লিপ্ত ভঙ্গিতে আইনস্টাইন বলেছিলেন ভবিষ্যৎ নিয়ে আমি কখনোই চিন্তা করিনা, কারণ এটা এমনিতেও তাড়াতাড়িই আসে। এক পার্টিতে আইনস্টাইন কে চিনতে না পেরে এক তরুণী প্রশ্ন করলেন। আপনি কি করেন? আইনস্টাইন উত্তর দিলেন আমি পদার্থবিজ্ঞানের ছাত্র। তরুণী অবাক হয়ে বললেন, আপনি এখনো ছাত্র! আর আমি গত বছর পাশ করেছি।
আইনস্টাইনের মেয়ের বিয়ে
আইনস্টাইনের মেয়ের বিয়ে সবাই চার্জে যাচ্ছিলেন পথিমধ্যে অনিয়নের মেয়েকে বললে তুমি চার্চের দিকে যাও আমি ল্যাবে আমার কলম টা রেখে আসছি, মেয়ে অনেক বারন করা সত্বেও উনি গেলেন ৩০ মিনিটের কথা বলে যাওয়ার পর উনি যখন সেই সময়ের মধ্যে ফিরলেন, তখন বিলম্ব না করে সবাই মিলে মেয়ের বিয়ে দিয়ে দিলেন। ৭ দিন পর উনার মেয়ে যখন বাসায় এসে মাকে জিজ্ঞেস করলেন বাবা কোথায়?
তখন আইনস্টাইনের স্ত্রী মেয়কে জানালেন ওই যে গেছেন, এরপর আর আসেনি। আইনস্টাইনের মেয়ে তার বাবাকে খুঁজতে ঢুকলেন তার নেবে এবং গিয়ে দেখলেন তার বাবা একটি কলম নিয়ে বোর্ডের সামনে গিয়ে কি জানি চিন্তা করছিলেন। মেয়ে বাবাকে জিজ্ঞেস করলেন, বাবা কি করছো? আইনস্টাইন অন্য মনস্ক ভঙ্গিতে বললেন মা তুমি চার্চে যাও আমি এই কাজটা ১০ মিনিটের মধ্যে শেষ করে আসছি।
পৃথিবী বিখ্যাত বিজ্ঞানী হয়েও নিজের জ্ঞান-গরিমা নিয়ে আইনস্টাইনের কোন ধরনের অহংকার ছিল না, শুধু একজন উচ্চ বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন মানুষ এবং পৃথিবীর সেরা বিজ্ঞানী নন। আইনস্টাইনের রসবোধ ছিল অত্যন্ত উঁচু মাপের, প্রকৃতির জটিল সব রহস্য নিয়ে যিনি ভাবতে পারেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ছিলেন কখনো সহজ-সরল কখনো ব্যঙ্গাত্মক কখনো ভিশন রুটি এবং প্রায় সবসময়ই প্রচন্ড ভুলো-মনা। আমাদের পোস্টস গুলো কেমন লাগলো?
আপনার মূল্যবান মতামত কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না।